জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরও এক আহত শিক্ষার্থী। নয় বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীর নাম শ্রেয়া ঘোষ।

আজ শনিবার সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত হয়ে শ্রেয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাই তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি হওয়া ৯ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছে। বর্তমানে আরও ২৮ জন ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গত ২১ জুলাই দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ আগুন আর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় বেশ কয়েকজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই স্কুলের শিক্ষার্থী। আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আরও অন্তত ৪৮ জন।

আরও পড়ুন‘প্রধান শিক্ষিকা ডাকলেন, না হলে হয়তো আমিও সেদিন লাশ হয়ে যেতাম’২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ইলস ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ