ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ১১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও সিকদার পরিবারের সদস্য, ব্যাংকের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার, তাঁর ভাই রিক হক সিকদার ও মমতাজুল হক সিকদার, বোন পারভীন হক সিকদার ও লিসা ফাতেমা হক সিকদারসহ পরিবারের সদস্য, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো.

আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, সাবেক পরিচালক ফারজানা পারভীন, আতিকুর নেসা, খন্দকার ইফতেখার আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী।

আক্তার হোসেন বলেন, সিকদার গ্রুপের কর্মচারী সৈয়দ কামরুল ইসলাম ‘এস কিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ডেভেলপার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় একটি হিসাব খোলেন। ওই হিসাব খোলার পরদিনই তিনি ১১০ কোটি ২৭ লাখ টাকার ঋণের জন্য আবেদন করেন। তিনি বলেন, নবীন গ্রাহক হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকের প্রচলিত বিনিয়োগ নীতিমালা ও জামানতের নিয়ম অমান্য করে মাত্র ২০ দিনের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদে প্রস্তাব উপস্থাপন ও অনুমোদনের মাধ্যমে ওই ঋণ বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এক দিনে পুরো অর্থ তিনটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংকের হিসাবে স্থানান্তর করে আবার সিকদার পরিবারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সহযোগীদের হিসাবে পাঠানো হয়।

দুদক বলছে, এভাবে কোনো প্রকল্প পরিদর্শন প্রতিবেদন ছাড়া, জামানতের মূল্য যাচাই বা আইনজীবীর মতামত ছাড়াই ঋণের টাকা বিতরণ করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সুদসহ বকেয়া দাঁড়ায় ২০৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার বেশি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • গোলাম রাব্বানীর ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হওয়া অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ