ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা চরম ভোগান্তি পড়েছেন। গতকাল সোমবার গভীর রাত হতে এ যানজট শুরু হয়ে আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত সড়কে যানজট ছিল।

জানা গেছে, মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে মদনপুর হয়ে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত উভয় লেনে যানজটে আটকা পড়েন যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা। অপরদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ অংশেও একই অবস্থা।

এদিকে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ বলছে, দাউদকান্দি এলাকায় একটি দুর্ঘটনা এবং ট্রাকচালকদের মহাসড়কের ওপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।  

চিটাগাং রোড থেকে মোগরাপাড়ার উদ্দেশে আসা রনি মিয়া বলেন, কাঁচপুর থেকে ছোট একটি বাসে উঠার পর প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে কাঁচপুর বিসিক অংশে আটকা ছিলাম। প্রায় দুই ঘন্টায় লাঙ্গলবন্দ এসে সড়ক স্বাভাবিক পেয়ে কোনোমতে আসতে গন্তব্যে আসতে পেরেছি। এখনো যানজট রয়েছে।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তা মিনিবাস নাফ পরিবহন যাত্রী ইমরান হোসেন জানান। তিনি কাঁচপুরে যাবেন। বাসে ওঠার পর বাস জাঙ্গাল যাবার পরপরই যানঘটে পড়ে। গাড়ি ধীরে ধীরে প্রায় আড়াই ঘন্টায় মদনপুর আসে। এক পর্যায়ে তিনি বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে কাঁচপুরে পৌঁছে।

রূপগঞ্জের তারাবো থেকে চিটাগাং রোড়ে যাবেন পান ব্যবসায়ী সুমন মিয়া। তিনি তারাবো থেকে একটি বাসে চড়ে কাঁচপুর বসে ছিলেন দেড় ঘন্টা। যেখানে যেতে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। 

এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন জানায়, ট্রাকচালকদের ডেকে ডেকে ঘুম থেকে জাগিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ধীরে ধীরে যানবাহন সচল হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা সড়কে আছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, দাউদকান্দি এলাকায় একটা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে মহাসড়কে আমরা রাত থেকেই রাস্তায় থেকে যানজট স্বাভাবিকের চেষ্টা করে সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিছুটা আছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ য নজট স

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ