বিদেশি ইন্টারনেট সেবার মূল্য পরিশোধ সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
Published: 1st, September 2025 GMT
ইন্টারনেট সেবার চার্জ পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে অনুমতি দিয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল বাংলাদেশ ব্যাংক। অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলো এখন থেকে বিদেশি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ইন্টারনেট সেবার চার্জ পাঠাতে পারবে। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ রবিবার (৩১ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যান্ডউইথ সেবা কেনার জন্য বিদেশে অর্থ পাঠাতে হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স, বিদেশি পক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির কপি, বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন, কর কর্তৃপক্ষের সনদ, ইনভয়েস এবং অর্থ পরিশোধের স্বপক্ষে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এসব কাগজপত্র যাচাই করে ব্যাংকগুলো নিজেরাই অর্থ পাঠাবে। লেনদেন-সংক্রান্ত সব নথি ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে চাইলে তা দেখাতে হবে। পাশাপাশি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ-সংক্রান্ত নীতিমালা কঠোরভাবে মানতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যান্ডউইথের পাশাপাশি নানা ধরনের ইন্টারনেটভিত্তিক সেবার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এসব চার্জ পাঠানোর ক্ষেত্রে জটিলতায় পড়ছিল। নতুন নির্দেশনায় ফলে সময় বাঁচবে, সেবার চার্জ বিদেশে পাঠানো সহজ হবে। একই সঙ্গে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বৈশ্বিক সেবাদাতাদের সঙ্গে আরো কার্যকরভাবে যুক্ত হতে পারবে।
ঢাকা/নাজমুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫