চলন্ত বাস থেকে জাবি ছাত্রীকে ধাক্কা, ২৫ বাস আটক
Published: 3rd, September 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘রাজধানী’ পরিবহনের বাসের হেলপারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ‘রাজধানী’ পরিবহনের ২৫টি বাস আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম হালিমা আক্তার। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, টিউশন শেষে সাভার থানা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠতে গেলে হেলপার তাকে ওঠাতে চাননি। জোর করে বাসে ওঠার পর চালক ও হেলপার তাকে গালিগালাজ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ডেইরি গেটে নামার সময় ওই হেলপার তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পর সহপাঠীরা তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় আমি টিউশনি শেষ করে পাকিজা থেকে বাস উঠতে চেয়েছিলাম। বাসের হেলপার আমাকে জিজ্ঞেস করে, কোথায় যাবো? আমি বলি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যাবো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনে আমাকে বাসে উঠাতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে বাসে উঠি কিন্তু নামার সময় চলমান বাস থেকে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় হেলপার। রাস্তায় পড়ে গিয়ে আমি পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি। এ ঘটনায় আরও খারাপ কিছু ঘটতে পারতো।”
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর এক সহপাঠী বলেন, “যে হেলপার আপুকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষকে লিখিত মুচলেকা দিতে হবে যেন আর কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ না করে। এছাড়া আমরা হালিমার চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।”
রাজধানী পরিবহনের এক কর্মকর্তা বলেন, “শুনেছি আমাদের একটি বাস এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়েছে। এর পর শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস আটকে রেখেছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত হেলপারকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, “একজন মানুষকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। গতকাল আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে হয়েছে সেটি অত্যন্ত অমানবিক। আমার সাথে এরইমধ্যে বাস মালিকের সাথে কথা হয়েছে। আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় মিটিং হবে বাস মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে। আলোচনা শেষে এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/হাবীব/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫