‘গুরমে কাবাব ফেস্ট’ বৈশ্বিক কাবাব স্বাদের উৎসব
Published: 4th, September 2025 GMT
দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, ব্যাংক এশিয়া পিএলসি’র সহযোগিতায় আয়োজন করেছে গুরমে কাবাব ফেস্ট। এটি এক অনন্য রন্ধন উৎসব যেখানে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তের কাবাবের ঐতিহ্যবাহী স্বাদ ও শিল্পকৌশল। অতিথিরা ৩ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত গুলশান-২ এ অবস্থিত দ্য ওয়েস্টিন ঢাকার পুরস্কারপ্রাপ্ত রেস্টুরেন্ট সিজনাল টেস্টস-এ এই বিশেষ উৎসব উপভোগ করতে পারবেন।
৩ সেপ্টেম্বর দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব রিপাবলিক অব ইজিপ্টের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি, ইজিপ্ট এয়ার বাংলাদেশের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মি.
আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য কাবাব বিশেষজ্ঞ শেফ সাঈত দারসুন, এক্সিকিউটিভ শেফ স্বপন রোজারিও এবং শেফ রিমাউন ওবাইদের তত্ত্বাবধানে গুরমে কাবাব ফেস্টে পাবেন বৈশ্বিক কাবাব ঐতিহ্যের অসাধারণ সমাহার। এর মধ্যে রয়েছে মসলায় মেরিনেট করে ধীরে ধীরে গ্রিল করা মিশরের ঐতিহ্যবাহী হাল্লা কাবাব, পেঁয়াজ ও পার্সলে দিয়ে মিশ্রিত ল্যাম্ব বা বিফের কিমা দিয়ে তৈরি বিখ্যাত কোফতা কাবাব, উল্লম্ব রোটিসারিতে রান্না করা তুরস্কের বিশ্বখ্যাত ডোনার কাবাব, চারকোলে গ্রিল করা লবস্টার কাবাব, লেবাননের রসুন-হার্ব কাবাব, আফগানিস্তানের মসলাদার চাপলি কাবাব, মরক্কোর জাফরান ও পাপরিকায় মেরিনেট করা ল্যাম্ব, এবং গ্রিসের জনপ্রিয় সুভলাকি পিটা ও তাজ্জিকির সাথে। দক্ষিণ এশিয়ার স্বাদে যুক্ত হয়েছে পুরনো ঢাকার সুতলি কাবাব ও পাকিস্তানের লাহোরি সিক কাবাব। আধুনিক ফিউশন হিসেবে রয়েছে চারকোল ল্যাম্ব শ্যাঙ্ক কাবাব, যা ধীরে রান্না করে ফ্লেমে ফিনিশ করা হয়েছে। প্রতিটি পদই খাঁটি স্বাদ এবং রন্ধনশিল্পের নিদর্শন হিসেবে অতিথিদের ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা দিয়েছে।
কাবাবের সাথে অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন আঞ্চলিক জনপ্রিয় খাবার যেমন ধীরে রান্না করা মাটন নিহারি, সুগন্ধি বিরিয়ানি এবং নানান রকম ঐতিহ্যবাহী পদ। ডাইনিং অভিজ্ঞতার শেষ প্রান্তে ডেজার্ট স্টেশনে থাকছে ওম আলি, নানারকম বাকলাভা, তুর্কি রেভানি, তুলুম্বা, মোশাবাক, চকোলেট ফাউন্টেন, রিচ মুস কেকসহ আরো অনেক কিছু।
গুরমে কাবাব ফেস্ট উপভোগ করা যাবে কেবলমাত্র ডিনারের সময়। বুফের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে জন প্রতি ৮,৯৫০ টাকা। উৎসব চলাকালীন ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং আরও ২৭টি পার্টনার ব্যাংকের মাধ্যমে অতিথিরা আকর্ষণীয় বাই-ওয়ান-গেট-টু এবং বাই-ওয়ান-গেট-ওয়ান অফার উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া ভ্রমণ পার্টনার ফার্স্টট্রিপের সৌজন্যে সৌভাগ্যবানরা জিতে নিতে পারবেন ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা এয়ার টিকিট। আগ্রহী অতিথিদের রিজার্ভেশনের জন্য কল করতে অনুরোধ করা হচ্ছে: +88-02-9891988 অথবা +8801730374871 নম্বরে।
ঢাকা/
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব ন প এলস
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় এবার ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা, বেড়েছে ২২টি মন্ডপ
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মন্ডপগুলোতে চলছে নানা প্রস্ততি। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকেরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় বেড়েছে ২২টি পূজা মন্ডপ। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। জেলায় ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপন মনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের পূজার প্রস্ততি নিচ্ছেন আয়োজকেরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। প্রতিমা শিল্পীরা ৫টি থেকে ১০টি পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করেছেন।
প্রতিমা শিল্পী কুমারেশ দাস ও মৃত্যুঞ্জয় কুমার পাল জানান, শেষ সময়ে প্রতিমা শিল্পীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে চাহিদাও বেশি।
এদিকে সকলের সহযোগিতায় অনাড়ম্বরভাবে দুর্গোৎসব পালন করতে চান আয়োজকরা।
হরিবাসর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের উপদেষ্টা বিপ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, “আশা করছি প্রতিবছরের মতো এবছরও উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে আমরা আমাদের পূজার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।”
মিলপাড়া সাবর্জনীন পূজা মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, “প্রত্যেক ধর্মকে সন্মান জানানো প্রত্যেকটি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সকলেই আমাদের পাশে থাকেন। আশাকরি এবারও তার ব্যত্যয় হবে না।”
কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, “আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভূজার আগমন হবে হাতিতে চড়ে আর কৈলাশে ফিরবেন দোলায়।”
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ২৫০ মন্দিরে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ১১টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ১২টি মন্ডবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এ বছর গত বছরের তুলনায় ২২টি মন্ডপে পূজা বেড়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর ২২টি পূজা বেশি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়েছে। এছাড়া ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।”
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, “প্রতিটা পূজা মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পূজা মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।”
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানান, যার যার ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে ও উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করা তাদের অধিকার। কোন প্রোপাগান্ডা ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকারের মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মব সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস