‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পরিবেশ ও ভূবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম (রাকা) পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার ‎(৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ গেইটের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে এর প্রতিবাদে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবি প্রক্টরের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর সনদ তুলতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ

কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের হত্যা’র বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

‎প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি পিকআপ (ট্রাক) উল্টো দিক থেকে এসে ধাক্কা দেয় এবং তার পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। দুর্ঘটনার পর তাকে দ্রুত প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

‎মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দেন। এছাড়াও দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

বেরোবি শিক্ষার্থী ‎জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সামনেই যদি নিরাপত্তা না পাই, নিরাপত্তা কোথায় পাব। আমরা তো আর ঘর থেকে বের হতে পারব না। তাই আমরা নিরাপদ সড়ক চাই।”

এ সময় শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সড়কে স্পিড ব্রেকার, ট্রাফিক বক্স ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, স্পীড লিমিট ১০ করা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনা তদন্ত করা, ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এ ঘটনায় জড়িত ব্যাক্তির শাস্তি নিশ্চিত করা।

‎পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সাতদিনের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ