বিজিবিতে দুই হাজারের বেশি পদ সৃষ্টি
Published: 22nd, October 2025 GMT
সীমান্ত পাহারায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাহিনীটির বিভিন্ন পর্যায়ে ২ হাজার ২৫৮টি পদ সৃষ্টি করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিজিবির সাংগঠনিক কাঠামোতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভুরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরের ৩টি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নে ২ হাজার ২২৬টি পদ এবং বর্ডার গার্ড হাসপাতাল, গুইমারায় ৩২টি পদ মিলিয়ে মোট ২ হাজার ২৫৮টি পদ সৃজন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রসারিত অর্গানোগ্রামের অধীন বিজিবিতে ৩ জন নতুন পরিচালক, ৯ জন অতিরিক্ত পরিচালক এবং ৯ জন উপপরিচালক নিয়োগ করা হবে। তাঁদের সশস্ত্র বাহিনী থেকে ডেপুটেশনে আধাসামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হবে, যেখানে যথাক্রমে লেফটেন্যান্ট কর্নেল, মেজর ও ক্যাপ্টেনের সমতুল্য তিনটি পদ অফিসারদের জন্য নির্ধারিত থাকবে।
সংশোধিত কাঠামোতে পরিদর্শক পদমর্যাদার তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে নিয়োগ করা হবে আধাসামরিক বাহিনীটিতে। অন্যদের বিজিবি নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে নিয়োগ করা হবে।
তাঁদের মধ্যে তিনজন সুবেদার মেজর (সকল শ্রেণি), ৫৭ জন নায়েব সুবেদার (সকল বিভাগ), ২৪০ জন হাবিলদার (সকল শ্রেণি), ২৮৫ জন নায়েক (সকল শ্রেণি), ১৫ জন ল্যান্স নায়েক (অফিস সহকারী), ৩২৭ জন ল্যান্স নায়েক (সকল শ্রেণি), ১৫ জন সৈনিক (অফিস সহকারী) এবং ১ হাজার ২২১ জন সৈনিক বা সিপাহি (সকল শ্রেণি)।
এ ছাড়া কয়েকটি বিভাগে বেসামরিক কর্মীও নিয়োগ করবে বিজিবি। এর মধ্যে তিনজন ইমাম, তিনজন হিসাবরক্ষক, তিনজন উচ্চ বিভাগের কেরানি, তিনজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট, তিনজন ধাত্রী ও তিনজন অফিস সহযোগীর পদ রয়েছে।
এ ছাড়া বিজিবির গুইমারা হাসপাতালে জনবল বৃদ্ধি করা হবে নতুন এই নিয়োগের ফলে। সেখানে নতুন সৃষ্ট পদের মধ্যে রয়েছে ৭ জন হাবিলদার (সকল শ্রেণি), ৩ জন নায়েক (সকল শ্রেণি), ৬ জন ল্যান্স নায়েক (সকল শ্রেণি) এবং ১৪ জন সৈনিক (সকল শ্রেণি)।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সকল শ র ণ ন য় গ কর ত নজন
এছাড়াও পড়ুন:
সালাহর বিদ্রোহ, স্লট আউট স্লোগান আর মাঠের দুর্দশা—যেভাবে ভেঙে পড়েছে লিভারপুল
এই লেখা নানা জায়গা থেকে শুরু করা যায়। সেটি হতে পারে মোহাম্মদ সালাহর বিদ্রোহ, স্লটের ওপর সমর্থকদের আস্থা হারানো, দলীয় ঐক্যের ভরাডুবি কিংবা তারকাদের ছায়ার নিচে ঢেকে যাওয়া থেকে। যেখান থেকেই শুরু করা হোক, ডটগুলো মেলালে একটা দৃশ্যই ফুটে উঠবে—লিভারপুলের অবিশ্বাস্যভাবে ধসে পড়া। যে ধসে পড়া শুধু মাঠের খেলাতেই নয়, ঘরে-বাইরে দুই জায়গাতেই গুঁড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুলকে। দেখা যাচ্ছে না এখান থেকে উত্তরণের কোনো আলোর রেখাও। যদিও শুরুটা মোটেই এমন হতশ্রী ছিল না।
ইয়ুর্গেন ক্লপের বিদায়ের পর গত মৌসুমটাকে লিভারপুলের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ভাবা হচ্ছিল। ক্লপ বিশেষ এক দর্শনে দলটিকে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন এবং এনে দিয়েছেন সাফল্যও। ম্যানচেস্টার সিটির একচ্ছত্র আধিপত্যকে ক্লপের লিভারপুলই কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ক্লপের বিদায়ের প্রভাব দলের মধ্যে পড়তে দেননি নতুন কোচ আর্নে স্লট। ক্লপের রেখে যাওয়া দল এবং দর্শনকে কাজে লাগিয়েই সবাইকে চমকে দিয়ে নিজের প্রথম মৌসুমে জিতে নেন লিগ শিরোপা।
স্লটের এই অর্জন দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। যার ওপর ভর করে দলবদলে লিভারপুল অবিশ্বাস্য পরিমাণে অর্থ খরচ করে এবং নিয়ে আসে ইউরোপের সম্ভাবনাময় একাধিক তারকাকে। যেখানে আলেক্সান্দার ইসাক, ফ্লোরিয়ান ভির্টৎস এবং উগো একিতিকের মতো তারকারাও ছিলেন।
আরও পড়ুনসালাহ বললেন, ‘আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে’১৫ ঘণ্টা আগেসব মিলিয়ে দলবদলে রেকর্ড ৪৮২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। ভার্জিল ফন ডাইক, সালাহ, গাকপোদের সঙ্গে নতুন এই তারকাদের অন্তর্ভুক্তি ক্লাবটির সমর্থকদের আরও বড় কিছু অর্জনের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। সেই পথে নতুন মৌসুমে লিভারপুলের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্তভাবে।
প্রিমিয়ার লিগে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সমর্থকদের শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন দেখায় লিভারপুল। চ্যাম্পিয়নস লিগেও লিভারপুল শুরুটা করে আতলেতিকো মাদ্রিদের মতো ক্লাবকে হারিয়ে। কিন্তু একটু দূরে যে বিপদ উঁকি দিয়ে বসে ছিল, তা খেয়াল করেনি কেউই। শুরুতে যে দলটি শেষ মুহূর্তে এসে গোল করে একের পর এক ম্যাচ জিতছিল, এরপর সেই একই উপায়ে ম্যাচ হারা শুরু করে তারা।
দল থেকে বাদ পড়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন সালাহ