পায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন ঋষভ
Published: 23rd, November 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমা ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’। ফেডারেশনের সঙ্গে বিরোধের জেরে সিনেমাটির মুক্তি আটকে ছিল। সব সংকট কাটিয়ে পায়েল সরকার ও ঋষভ বসু অভিনীত এ সিনেমা গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির আগে সিনেমাটি ‘অ্যাডাল্ট সনদ’ পায়। সিনেমাটিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন ঋষভ-পায়েল।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ঋষভ। এ অভিনেতা বলেন, “সিনেমাটি নিয়ে চার বছরের অপেক্ষা। মাঝে অনেক ঝড়ঝাপটা বয়ে গিয়েছে। আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাউকে ছোট করতে চাইনি। আর যারা টেকিনিশিয়ানদের হয়ে লিখেছেন, তারা ঠিক লিখেছেন। যেকোনো ক্ষেত্রে একটা নিয়মের প্রয়োজন রয়েছে। আর আমি যখন বিদেশে ঠান্ডায় শুট করছিলাম, সেই সময়ে এই টেকিনিশিয়ান দাদারাই আমার খেয়াল রেখেছিলেন।”
আরো পড়ুন:
প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রসেনজিৎ জুটি, সঙ্গী ঋতুপর্ণা
মুখোমুখি জিতু-দিতিপ্রিয়া, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সংকট কী কাটল?
‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’ সিনেমায় সাহসী দৃশ্যে দেখা গিয়েছে ঋষভ বসুকে। শুধু নগ্ন দৃশ্যই নয়, পায়েল সরকারের সঙ্গে তাকে অন্তরঙ্গ দৃশ্যেও দেখা গিয়েছে। এ দৃশ্যের শুটিংয়ের বিষয়ে ঋষভ বলেন, “আসলে এই ধরনের কাজ হলিউডে প্রতিনিয়ত হয়। শাহরুখ খান তার প্রথম দিকের সিনেমায় এমন দৃশ্যে কাজ করেছেন; সবটাই শিল্পের জন্য করা। একজন ফাইন আর্টিস্ট হয়ে ফাইন আর্টসের জন্য এটা আনন্দ দিয়েছে।”
এ দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ঋষভ বলেন, “আসলে আমি ‘শ্রীকান্ত’ করেছিলাম বলে একটা অভিজ্ঞতা ছিল এই ধরনের দৃশ্য কীভাবে শুট করা হয় সেই সম্পর্কে। আর প্রস্তুতি বলতে, এই শরীর প্রদর্শনের জন্য চেহারাটা সুঠাম রাখতে সাহায্য করেছিল কোভিড।”
দর্শক আগেও তাকে অন্য অভিনেত্রীদের সঙ্গে পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখেছেন। কাজটা সুচারুভাবে করতে পারেন বলেই প্রস্তাবটি পান ঋষভ। তাই চরিত্রের প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এমন দৃশ্যে অভিনয় করতে আপত্তি নেই এই অভিনেতার।
জয়ব্রত দাশ পরিচালিত এ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন—রুদ্রনীল ঘোষ, সৌরভ দাস, রাহুল ব্যানার্জি, সুদীপ, অনুরাধা প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জন য ন ঋষভ
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিক আটক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ রোববার দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪২ নম্বর সীমান্ত পিলারসংলগ্ন গাছবুনিয়া পাড়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
বিজিবি বলছে, আটক ব্যক্তিরা নিজেদের মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য বলে দাবি করেছেন। সন্ধ্যায় তাঁদের নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন মিয়ানমারের শান রাজ্যের মোমেক শহরের বাসিন্দা কো কো সাইন (৩৫), আয়াওয়ার্দি রাজ্যের প্যান তানাউয়ের বাসিন্দা সোয়ে থু রা (৩৮), একই রাজ্যের মাগাতুতাও শহরের বাসিন্দা অং সান হতু (২৫), আয়াওয়ার্দি রাজ্যের কিয়াও জায়ের লিন (৩২) ও ইয়াঙ্গুন রাজ্যের বাসিন্দা মিন মিন ও (৪১)।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিজিবি পাঁচজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সীমান্ত অনুপ্রবেশের ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে। তাঁরা আসলে সেনা অথবা বিজিপির সদস্য কি না, তা যাচাই করা হবে।’
ঘুমধুম সীমান্তের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিক রাখাইন রাজ্যের কাঁটাতারের সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে সীমান্ত পিলার ৪২ নম্বর অতিক্রম করে অন্তত দেড় কিলোমিটার হেঁটে গাছবুনিয়া পাড়ায় এসে আশ্রয় নেন। স্থানীয় লোকজন ঘিরে ধরলে তাঁরা নিজেদের সেনা ও বিজিপির সদস্য বলে পরিচয় দেন এবং রাখাইন রাজ্যের সংঘাতের কারণে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছেন বলে জানান।
খবর পেয়ে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির আওতাধীন মংজয়পাড়া বিওপির টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের আটক করে।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আটক ব্যক্তিরা মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সদস্য কি না, এ মুহূর্তে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
সীমান্ত এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, রাখাইন রাজ্যে ১১ মাসের যুদ্ধে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মংডু টাউনশিপসহ প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এখনো সংঘাত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে পাঁচজন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
বিজিবি ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মে পর্যন্ত রাখাইন রাজ্য থেকে কয়েক দফায় মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির অন্তত ৭৫২ সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে তিন দফায় তাঁদের মিয়ানমার সরকারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়।