ইরানি সাহিত্যে নারী জাগরণ, হার্পার লির নতুন বই প্রকাশিত
Published: 23rd, October 2025 GMT
ইরানে নারী সাক্ষরতার হার ৯৭ শতাংশ, সাহিত্যে নব জাগরণ
ইরানে নারীদের সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৭ শতাংশে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, নারীরা শিক্ষা গ্রহণ ও সাহিত্য, সাংবাদিকতা, সংস্কৃতি উৎপাদনে রীতিমতো নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটি এমন এক সূচক যা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নজিরবিহীন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট অফিসের নারী ও পরিবারবিষয়ক উপপ্রধান পারভিন হাজি-মোহাম্মাদি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৬০ শতাংশ আবেদনকারীই নারী। তাঁর মতে, নারীদের শিক্ষা ও সাক্ষরতার প্রসার সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।
ইরানের ইতিহাসে নারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ এত বিস্তৃত ছিল না। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে নারীরা প্রাথমিকভাবে উচ্চশিক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। বর্তমান শতকের শুরুর দশকে ধারাবাহিক নীতিগত পরিবর্তন ও স্থানীয় উদ্যোগ নারীর শিক্ষায় নতুন পথ খুলে দেয়।
বিশেষত ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলে নতুন স্কুল ও টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সাক্ষরতার বিস্তার সরাসরি প্রভাব ফেলেছে সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে। ইরানের বিভিন্ন শহরে নারী লেখক, কবি ও প্রকাশকদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। তেহরান ও ইস্পাহানে প্রকাশিত সাম্প্রতিক সাহিত্য সাময়িকীগুলোর অন্তত এক তৃতীয়াংশ জুড়ে নারীরাই সম্পাদক বা অনুবাদক হিসেবে যুক্ত আছেন।
নারী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সামাজিক রক্ষণশীলতা ও রাজনৈতিক চাপ এখনো বহাল আছে ইরানে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ক ষরত র
এছাড়াও পড়ুন:
মর্গের তরুণীর লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, ডোম গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে এক তরুণীর (২০) লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে আবু সাইদ (১৯) নামের এক ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে মমেক হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে এ ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতেই হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আবু সাঈদ ময়মনসিং হের হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দক পাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি হালুয়াঘাট থানায় মরদেহ আনা-নেওয়া করতেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আবু সাইদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বলেছেন, গত রবিবার হালুয়াঘাট উপজেলায় রাত আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। রাতে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হেফাজাতে রাখে। পরদিন সকাল ১১টায় ডোম আবু সাইদ ও আরেকজন তরুণীর লাশ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসেন। তারা মর্গে মরদেহ রেখে চলে যান। আধা ঘণ্টা পর আবু সাইদ ও তার সঙ্গী এসে চাবি নিয়ে মর্গে ঢুকে লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন। মর্গে কর্তব্যরত ডোম এসে অন্ধকার দেখতে পেরে লাইট জ্বালান। এ সময় আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে মর্গে ঘুমাতে দেখেন। মরদেহ দেখে কর্তব্যরত কর্তব্যরত ডোমের সন্দেহ হলে চিকিৎসককে খবর দেন তিনি। চিকিৎসক এসে ময়নাতদন্ত করে ধর্ষণের আলামত পান।
ওই ডোম বলেন, চিকিৎসক ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করলে হালুয়াঘাট থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাইদ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলার বাদী হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল বলেন, আবু সাইদ জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি হালুয়াঘাট থানায় মরদেহ আনা-নেওয়া করতেন।
ঢাকা/মিলন/রফিক