চট্টগ্রামে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। আজ বুধবার রাত নয়টার দিকে নগরের পাহাড়তলীর সাগরিকায় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তিদের জুলাই যোদ্ধা দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)।

এই স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল।

পুলিশ জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা হলেন মো.

মেহেদী (২৭), সোলাইমান স্বপন (২৮) ও নুরুল হুদা (২৫)। তাঁরা হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ সোহেল রানা।

এনসিপির চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয় কমিটির সদস্য ও এনসিপির মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী রিদুয়ান হৃদয় রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সাকিব আল হাসানের নামে প্ল্যাকার্ড ধারণ এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। খেলা দেখতে যাওয়া সাধারণ দর্শকেরাসহ অন্যরা এর প্রতিবাদ করলে ওই সময় ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১০ জন জুলাই যোদ্ধা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

জানতে চাইলে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন রাতে প্রথম আলোকে বলেন, স্টেডিয়ামে হাতাহাতির ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের নাম–ঠিকানা যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ১১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের একটি কনভেনশন সেন্টারে কনসার্টে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বনানীতে স্পা সেন্টারে অভিযানে গ্রেপ্তার ৬, ভুক্তভোগী ১২ নারীকে উদ্ধার

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কম বয়সের নারীদের ঢাকায় এনে বাধ্যতামূলকভাবে যৌনকর্মে নিয়োজিত করার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীর ‘রিলাক জোন বিউটি পারলার অ্যান্ড সেলুন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় ১২ জন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), রাকিবুল ইসলাম (২৫), গোলাম মোর্শেদ ওরফে সৌমিক (২৬), রাব্বি ইব্রাহীম (২৩), জহিরুল (৩৩) ও শ্যামল কুমার (৪৭)।

সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বনানী এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রিলাক জোন বিউটি পারলার অ্যান্ড সেলুন পরিচালনা করা হচ্ছিল। অভিযানের সময় দেখা যায়, ফ্ল্যাটের একাধিক কক্ষে নানা জেলা থেকে আনা কম বয়সী নারীদের জড়ো করে রাখা হয়েছে। এ সময় ১২ জন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ছয়জনকে।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় পারলারটির স্পা সেন্টারের মালিক মোবারক আলী ওরফে সবুজকেও (৩৬) আসামি করা হয়েছে।

সিআইডি বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্চ বেতনের চাকরি, বিউটি পারলারে নিরাপদ কাজ, থাকার ব্যবস্থাসহ বৈধ কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসব নারীকে ঢাকায় আনা হয়েছে। পরে তাঁদের চাপ প্রয়োগ, ভয়ভীতি ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নানা কৌশলে স্পা সেন্টারের আড়ালে যৌনকর্মে বাধ্য করা হচ্ছিল।

ভবনের মালিক দেলোয়ার হোসেন পলাতক। তিনি অবৈধ ও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হবে জেনেও ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন বলে সিআইডির তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বনানীতে স্পা সেন্টারে অভিযানে গ্রেপ্তার ৬, ভুক্তভোগী ১২ নারীকে উদ্ধার