সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন বাতিল
Published: 18th, October 2025 GMT
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী বছর তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা বাড়াতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার। ২০২৬ সালের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি বরাদ্দে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত আসনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অতিরিক্ত আসন বরাদ্দ পায়নি এই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি।
অতিরিক্ত আসনের আবেদন বাতিলের কারণ
৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সব কটি বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন চেয়েছিল সরকারের কাছে। কিন্তু সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার অভাব, অঞ্চলের প্রতি গভীর আগ্রহ ও সম্পৃক্ততার অভাব এবং নতুন শিক্ষার্থী আবাসনে যথাযথ বিনিয়োগের প্রমাণ না থাকায় সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না।
আরও পড়ুনবিদেশি শিক্ষার্থীদের আবারও দুঃসংবাদ দিল অস্ট্রেলিয়া২৭ আগস্ট ২০২৪দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতি মনোযোগকে অগ্রাধিকার
ফেডারেল আন্তর্জাতিক শিক্ষা সহকারী মন্ত্রী জুলিয়ান হিল বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থের অংশ। ২০২৬ সালের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আসন বরাদ্দে আমরা সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই প্রাধান্য দিয়েছি, যারা আমাদের অঞ্চলে সত্যিকারের মনোযোগ দিচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিক্রিয়া
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট কিরস্টেন অ্যান্ড্রুজ বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আরও বৈচিত্র্যময় শিক্ষার্থী সম্প্রদায় গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, চীন থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই এখনো বেশি হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও আফ্রিকা থেকে শিক্ষার্থী বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী মিশ্রণে বৈচিত্র্য বাড়ানো যায়।’
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণে মানতে হবে ৯টি নিয়ম১৪ অক্টোবর ২০২৫ভিসা আবেদন কমেছে ২৬ শতাংশ
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট ভিসা আবেদন আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ কমেছে। ফেডারেল সরকার আগামী বছরের জন্য নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তিতে ২ লাখ ৯৫ হাজার আসন বরাদ্দ করেছে। এর আগে বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার আসনের সীমা নির্ধারণ করা ছিল। তবে অতিরিক্ত আসন না পেলেও সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ১১ হাজার ৯০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে দেশজুড়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তিতে শীর্ষে থাকবে। গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নতুন আইন ও কঠোর নজরদারি
শিক্ষামন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার ৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক শিক্ষা খাতের স্বচ্ছতা জোরদারের জন্য একটি বিল পেশ করেন। বিলে শিক্ষা এজেন্সির নতুন সংজ্ঞা যোগ করা হয়েছে এবং অনৈতিক বা অবৈধ অপারেটরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরীক্ষা ও শর্ত কঠোর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষা খাত দ্রুত অর্থ কামাতে চাওয়া অসাধু ব্যক্তিদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তাই আমরা এই খাতে অনৈতিক কার্যকলাপ রুখতে নতুন আইন সংসদে এনেছি।’
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ায় দুই বছর মুঠোফোনবিহীন শ্রেণিকক্ষ: ফলাফল কেমন১৫ অক্টোবর ২০২৫আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে স্বল্প খরচে পড়াশোনার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান১৪ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভর ত র বর দ দ র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন ম্যাক্সওয়েলও
দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে শেষপর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এক আবেগঘন বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আইপিএল ২০২৬ নিলামে তিনি নিজের নাম রাখেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সেই দীর্ঘ পোস্টে ম্যাক্সওয়েল লিখেছেন, আইপিএল তাকে বদলে দিয়েছে ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও।’
প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু পাঞ্জাব কিংস তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর এ বছর নিলামে নাম তালিকাভূক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
আরো পড়ুন:
শেষ ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে তিন পরিবর্তন
মেঘ বর্ষণের পর ক্রাইস্টচার্চে উইকেট বৃষ্টি
ম্যাক্সওয়েল লিখেছেন, “আইপিএলে এত বছর অবিস্মরণীয় সময় কাটানোর পর এ বছর নিলামে না ওঠার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লিগটি আমাকে যে সম্মান, ভালোবাসা আর অভিজ্ঞতা দিয়েছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
তিনি আরও যোগ করেছেন, “আইপিএল আমাকে গড়ে তুলেছে। অসাধারণ সব সতীর্থ পেয়েছি, দুর্দান্ত সব ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছি, আর এমন সব দর্শকের সামনে খেলেছি যাদের আবেগের তুলনা নেই। ভারতের স্মৃতি, চ্যালেঞ্জ আর উন্মাদনা সারাজীবন থেকে যাবে।”
শেষে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ম্যাক্সওয়েলের বার্তা, “এত বছর পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আশা করছি আবারও কোথাও দেখা হবে।”
এর আগে ফাফ ডু প্লেসিস ও মঈন আলির মতো বড় নামও আইপিএল ২০২৬ মিনি নিলামে না ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় ম্যাক্সওয়েল কি তাদের পথ ধরে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৬ মৌসুমে নাম লেখান কি না।
আইপিএলে ১৪১ ম্যাচে ২,৮১৯ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল। স্ট্রাইক রেট ১৫৫ এরও বেশি। সবচেয়ে বেশি খেলেছেন পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে। পাশাপাশি অল্প সময়ের জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়েও খেলেছেন তিনি।
তবে আইপিএলে তার ক্যারিয়ার ছিল উত্থান-পতনে ভরা। একদিকে বিস্ময়কর সব পারফরম্যান্স, অন্যদিকে অনেক মৌসুমেই হতাশা। একমাত্র আইপিএল শিরোপা জিতেছিলেন ২০১৩ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে, তাও মূল স্কোয়াডে খুব বেশি সুযোগ না পেয়ে।
আইপিএল ২০২৫-এ পাঞ্জাব কিংস ৪.২ কোটি রুপিতে তাকে দলে নিলেও চোটে ভরা এক অনুজ্জ্বল মৌসুম শেষে তাকে আর ধরে রাখেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
অর্থমূল্যে আইপিএলের অন্যতম ‘হট প্রপার্টি’ ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তার সবচেয়ে বড় চুক্তি ছিল ২০২১ সালে। সেবার আরসিবি তাকে কিনেছিল ১৪.২৫ কোটি রুপিতে। ২০১৩ সালের নিলামেও তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ মূল্য পাওয়া খেলোয়াড়, যখন মুম্বাই তাকে দলে ভেড়ায়।
ঢাকা/আমিনুল