নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিএনপি আপনাদের ভোটে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বিএনপি কী করবে তা তুলে ধরেছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফার মাধ্যমে।

৩১ দফার মধ্যে “সবার জন্য স্বাস্থ্য, সার্বজনীন চিকিৎসা” প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সেই চিকিৎসা সেবার নমুনা হিসেবে আজ ফ্রী মেডিকেল সেবা আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি সুশিক্ষা এবং সুচিকিৎসা ছাড়া কোন উন্নয়ন কাজে লাগবে না। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনারগাঁয়ের জামপুর মাঝেরচর এম এস জি কে উচ্চ বিদ্যালয় অনুষ্ঠিত সপ্তম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফার প্রচারণার অংশ হিসেবে এ ্র মেডিকেল ক্যাম্প চলমান রয়েছে। দিনব্যাপি  এ মেডিকেল ক্যাম্পে ২ হাজার চার ৫৯ জন রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। এসময় তাদেরকে প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। 

মেডিকেল ক্যাম্পে দিন ব্যাপী চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন ডাক্তার মোঃ আমিনুল ইসলাম,  ডাক্তার তানভীর ইসলাম রাকিব,  ডাক্তার আফিফা সুলতানা,  ডাক্তার শাকিল বিশ্বাস,  ডাক্তার অপূর্ব দাস,  ডাক্তার সাবিকুন্নাহার সুলতানা,  ডাক্তার সাঈদ জিহান,  ডাক্তার হাবিবুর রহমান পিয়াস,  ডাক্তার নূরে তাইয়্যেবা, ডাক্তার হাসিনা আক্তার এবং ডাক্তার শামীম আহমেদ। এর আগে পরিচালিত ৬ টি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে ১৩ হাজার ৭০০ জন মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। 

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে যান। এ সময় জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওবায়দুল হক ভুঁইয়া এবং স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহীম মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। 

জামপুর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জামপুর মাঝের চর এম,এস,জি কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার মন্ডল, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তুষার আহম্মেদ, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন এলি, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়াসিম খন্দকার। 

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল,  সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী অধ্যাপক বদরুনাহার, প্রভাষক রুমানা জাহান, প্রভাষক মহসিন সরকার, জেলা তাঁতী দলের সহ-সভাপতি ইসমাইল সিকদার প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ