ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। দেড় বছর আগে মাহি নিজেই জানিয়েছিলেন তাদের বিবাহবিচ্ছেদের কথা। এরপর থেকেই দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি— ফলে শুরু হয় বিচ্ছেদের নানা গুঞ্জন।

তবে সেই গুঞ্জন যেন নতুন মোড় নিয়েছে। সম্প্রতি ফেসবুকে হঠাৎ করেই দুজনই নিজেদের বিয়ের পোস্ট নতুন করে শেয়ার করেছেন। রকিব সরকার নিজের প্রোফাইলে ‘Married to Mahiya Mahi’ লিখে একটি আপডেট দেন। মুহূর্তেই সেই পোস্টে শুভেচ্ছা জানান অনেকে।

মজার বিষয় হলো, মন্তব্যের ঘরে মাহি নিজেও লিখেছেন—“উল্টা পাল্টা কি ডেট দিছো!” এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন রাগের ইমোজি।

রকিবের পোস্ট অনুযায়ী তাদের বিয়ের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১। অথচ সে সময় গণমাধ্যমে তাদের বিয়ের তারিখ জানানো হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১। অন্যদিকে মাহিও নিজের প্রোফাইলে লিখেছেন—‘Married to Rakib Sarkar’।

এতে অনেকেই ধারণা করছেন, বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে দুজনই আবারও সম্পর্কের স্থায়িত্ব প্রকাশ করতে চেয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।

‘ডিভোর্স হয়নি’—বিষয়টি নিশ্চিত করে মাহিয়া মাহি রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের ডিভোর্স হয়নি। ডিভোর্স না হলে সংসার ভাঙার তো প্রশ্নই আসে না।”

তাহলে কেন বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নে মাহি বলেন, “আমি রাগের মাথায় বিচ্ছেদের কথা বলেছিলাম। আসলে আমাদের ডিভোর্স হয়নি; নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।”

বর্তমানে মাহি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং রকিব সরকার আছেন ভারতে। তবে তাদের নতুন অনলাইন পোস্ট যেন স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে— দূরত্ব থাকলেও সম্পর্কের বন্ধন এখনো অটুট।

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

অনিবন্ধিত এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা 

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন কিংবা ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ ছাড়া ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে সরকার। আগামী ৬ নভেম্বর মধ্যেই নিবন্ধন আবেদন দাখিল করতে হবে। এরপরে লাইসেন্স ছাড়া কার্যক্রম চালালে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে আটাবসহ সংশ্লিষ্টদের চিটি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে দেশে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বা ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ ছাড়া ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার ফলে আকাশপথে পরিবহন সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি ও প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইতঃপূর্বে মন্ত্রণালয় হতে বিভিন্ন সময়ে অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সিসমূহকে আইন ও বিধি অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২১ এবং বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ গ্রহণ ছাড়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধন সনদ নবায়ন ছাড়া ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনা করা আইনের লঙ্ঘন ও অপরাধ।

এ অবতাবস্থায়, অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনাকারী সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (www.regtravelagency.gov.bd) আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন আবেদন দাখিল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

নির্ধারিত তারিখ অতিক্রান্তের পর নিবন্ধন ছাড়া কোনো ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা পরিচালনা করলে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২১, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিহত শহীদ পরিবারে ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা সহায়তা
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ৫ বাংলাদেশি বোলার
  • টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন ভারতের ব্যাটার
  • অনিবন্ধিত এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা