২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ শনিবার (১৮ অক্টোবর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা.

আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

৫ মে শাপলা চত্বরে শহীদ ৫৮টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লাখ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।”

শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।”

এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহীদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, “স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে।”

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স থ ন য় সরক র র উপদ ষ ট ত হত য অন ষ ঠ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন ভারতের ব্যাটার

ভারতের নারী ক্রিকেটে আবারও ইতিহাস লেখা হলো। মহারাষ্ট্রের তারকা ব্যাটার কিরণ নবগিরে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সিনিয়র উইমেন্স টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে ঝড় তুলে ভেঙে দিলেন নিউ জিল্যান্ডের সোফি ডিভাইনের রেকর্ড। নাগপুরের সিভিল লাইন্সের ভিসিএ স্টেডিয়ামে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ৩৫ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন তিনি।

প্রায় তিন বছর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় ছক্কার জন্য আলোচনায় আসা নবগিরে আবারও প্রমাণ করলেন কেন তাকে ভারতের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হিটার বলা হয়। ১১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। ওপেনার ইশওয়ারি সাভকার দ্রুত ফিরে গেলে দ্বিতীয় উইকেটে মুক্তা মাগরেকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র আট ওভারেই জয় এনে দেন মহারাষ্ট্রকে। ১০৩ রানের সেই জুটিতে মাগরের অবদান ছিল মাত্র ৬ রান, বাকিটা নবগিরের ব্যাট থেকে ৩১ বলে ৯৭ রান!

আরো পড়ুন:

মাত্র ১৪ বছর বয়সেই সূর্যবংশীর ছক্কার বিশ্বরেকর্ড

বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়

মাত্র ৩৪ বলেই তিন অঙ্কে পৌঁছে গড়েন নতুন ইতিহাস। নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ইনিংসটি শেষ করেন ১৪টি চার ও ৭টি ছক্কায়, স্ট্রাইক রেট ছিল অবিশ্বাস্য ৩০২.৮৬। যা নারী ক্রিকেটে আগে কখনো দেখা যায়নি।

এর আগে ২০২১ সালে সোফি ডিভাইন ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছিলেন। নবগিরে সেই রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন। তিনি এখন একমাত্র নারী ব্যাটার, যিনি ৩০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে টি-টোয়েন্টিতে শতক হাঁকিয়েছেন।

এটাই প্রথমবার নয়, নবগিরে অতীতেও এমন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের নজির রেখেছেন। ২০২২ সালের সিনিয়র উইমেন্স টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে তিনি ৩৫টি ছক্কা মেরেছিলেন। তাতে এক মৌসুমে সর্বাধিক ছক্কার রেকর্ড এখনো তার দখলে। একই বছরে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ৭৬ বলে ১৬২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, যা ছিল কোনো ভারতীয় নারীর টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ১৫০+ রানের ইনিংস।

সেই বছরই নারী টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে আত্মপ্রকাশ করেন নবগিরে, আর প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড! মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি। যা ছিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্রুততম।

পরবর্তীতে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে তাকে দলে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। প্রথম মৌসুমেই ৩১ বলে ৫৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে জেতান। চলতি বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলেছেন আরেকটি আগুনে ইনিংস; মাত্র ১৬ বলে ৪৬ রান, স্ট্রাইক রেট প্রায় ২৮৭!

যদিও আন্তর্জাতিক পরিসরে এখনও নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ২০২২ সালে ভারতের হয়ে ছয়টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নবগিরে, করেছেন মাত্র ১৭ রান। তারপর থেকে আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি।

নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম শতক (বল অনুসারে):
১. কিরণ নবগিরে – ৩৪ বল,
২. সোফি ডিভাইন – ৩৬ বল (ওয়েলিংটন বনাম ওটাগো, ২০২১),
৩. ডিয়ান্দ্রা ডটিন – ৩৮ বল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১০),
৪. গ্রেস হ্যারিস – ৪২ বল (ব্রিসবেন হিট বনাম মেলবোর্ন স্টারস, ২০১৮)।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজনৈতিক নেতাদের ভুল ও সমন্বয়ের অভাবে ৫ মে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারেনি: মঞ্জু
  • মাহির বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝেই বিয়ের তারিখ ভুলে গেলেন রকিব!
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ৫ বাংলাদেশি বোলার
  • টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন ভারতের ব্যাটার
  • অনিবন্ধিত এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা