দাগনভূঞায় প্রবাসীর বাড়ি থেকে ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট
Published: 1st, November 2025 GMT
ফেনীর দাগনভূঞায় কাতারপ্রবাসীর এক বাড়ির তালা ভেঙে রাতের আঁধারে ২৬ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেছে চোরের দল। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর বাগেরহাট গ্রামের ছফর আলী বাড়ির কাতারপ্রবাসী নাসির উদ্দীনের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে।
প্রবাসী নাসির উদ্দীনের স্ত্রী ববি আক্তার বলেন, ‘আমি আমার দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে গত কয়েক দিন পাশের জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহীগোবিন্দ এলাকায় বাবার বাড়িতে ছিলাম। শুক্রবার রাতে ঘরে কেউই ছিল না, তালাবদ্ধ ছিল। খবর পেয়ে বাড়ি গিয়ে দেখি ঘরের প্রধান ফটকের তালা ভাঙা, দরজা ভাঙা, আলমারির তালা ভাঙা এবং ঘরের আসবাবপত্র সব এলোমেলো। চোরের দল আলমারিতে থাকা প্রায় ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, হীরার একটি রিং ও দুটি নাক ফুল, ১২ হাজার টাকা, মোট ৫৫ লাখ ১২ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
ববি আক্তার আরও বলেন, ‘স্বামী কাতারে থাকায় বেশির ভাগ সময় দুই সন্তান নিয়ে আমি বাবার বাড়িতে থাকি। এ সময় ঘর তালাবদ্ধ থাকে।’
পুলিশ জানায়, কাতারপ্রবাসীর স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকার সময়ে চোরের দল ঘরের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকারসহ জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ফেনীর দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, যেহেতু ঘটনার সময় ঘর তালাবদ্ধ ছিল, সেহেতু এটি ডাকাতির কোনো ঘটনা নয়। মামলার পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের একাধিক দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে রাত আটটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র প রব স
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫