কুষ্টিয়ায় রেলসেতুর নিচ থেকে নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
Published: 1st, November 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রেলসেতুর নিচ থেকে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও তার স্বজনদের ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন রেলসেতুর নিচ থেকে ৫২ বছর বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহত নারীর স্বামী ও সন্তান রয়েছে।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে স্ত্রীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, স্বামী নিখোঁজ
হবিগঞ্জে বড় ভাইয়ের প্রেমঘটিত বিরোধে ছোট ভাইকে হত্যা
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘‘নিহত নারীর মাথায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’ এ বিষয়ে এখনো মামলা হয়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সকাল ৬টার দিকে রেলসেতুর নিচে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে ওই নারীর ছেলে এসে তার লাশ শনাক্ত করে। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত নারীর ছেলে বলেন, ‘‘মা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।’’
মামলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র র লস ত র ন চ ল শ উদ ধ র রক ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫