নিরাপত্তাহীনতায় এনসিপি নেত্রী লুবনা, থানায় জিডি
Published: 18th, October 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক এবং হুমকি-ধমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন জানিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জেলা এনসিপির সদস্য মোসা. সোনিয়া আক্তার লুবনা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফতুল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কয়েকদিন যাবৎ আমার ফেসবুক মেসেঞ্জারে এবং কমেন্ট বক্সে কয়েকটি ফেসবুক ফেক একাউন্ট হইতে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ অনুমান রাত ১ টায় দিকে অজ্ঞাতনামা বিবাদী আমার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট এবং অনৈতিবাচক কথাবার্তা পোষ্ট করে, আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির করছে।
এ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা চক্রটি যে কোন সময় আমার আরও বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
আরও উল্লেখ করেন, এই দিকে নারায়ণগঞ্জের কিছু নিউজ পোর্টালে আমাকে নিয়ে কিছু মিথ্যা সংবাদ করাচ্ছে যে, আমি ভুয়া জুলাই যোদ্ধা। অন্য দিকে কিছু কুচক্র ফেসবুকে আইডি হ্যাক করে গতকাল রাতে, এবং উল্টা পাল্টা পোস্ট দিয়েছে।
জুলাইয়ে আন্দোলনের ভূমিকা আমার প্রতিটা ভিডিও ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রিপোর্ট করে এর কারন অনেকটাই স্পষ্ট এখন, কেনো বা কিসের জন্য করা হচ্ছে আর কেনো করা হচ্ছে।
গতবছর ৫ আগস্টের পর থেকে আমি আহত ও শহীদের জন্য কাজ করে আসছিলাম। শুধু তাদের লিস্ট করার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছি এবং আমার করা প্রত্যেকটা আহত ও শহীদদের নামের তালিকা ভালোভাবে যাচাই-বাচাই করে সরকারি তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং তাদের প্রত্যেকের তালিকা আমার নিকট সংরক্ষিত রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আমার সাথে আরও অনেক রাজনৈতিক দলের লোকজন যুক্ত ছিলেন এই লিস্ট করায়, কিন্তু আহত ও শহীদদের লিস্ট করা পর্যন্তই ছিলাম, পরে আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হওয়ার সুবাদে আর আহত শহীদদের নিয়ে কোন ধরনের কাজ করার সুযোগ এবং সময় পাইনি আর করিনি।
মামলার বিষয়ে ডায়েরিতে উল্লেখ করেন, আমিসহ যাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের কাউকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। এমনকি কখনও দেখিনি। জানি না এই মামলা কেন দায়ের করা হয়েছে আর কোথা থেকে মামলা হয়েছে।
আমাকে কিসের ভিত্তিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে আর অভিযোগটা আসলে কি নিয়ে। আসামি কারা বা বাদী বা কে? আর যেহেতু এই মামলা এখন আইনী ব্যপার সুতরাং এই মামলা নিয়ে আমার কোন ধরনের বক্তব্য নেই এটি সম্পূর্ণ আইনের ব্যাপার এবং এর তদন্ত সাপেক্ষে যে ধরনের ফলাফল হবে তার উপর ভিত্তি করে আমি আইনানুগ প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ফ সব ক ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে বললেন ইউজিসি চেয়ারম্যান
শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বরিশালের বেলস পার্কে অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর মাধ্যমে বরিশালে প্রথম কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিক হলো। এতে ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
ইউজিসির অর্থায়নে গবেষণা করবেন ইবির ১৪১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’
অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, “শিক্ষার্থীদের এই বয়সে শিক্ষকরাও একদিন ছিলেন। তাই তারা জানেন এই সময়ে শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে কত চঞ্চলতা-অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তো সেই বয়সটা ছিল না, যে বয়সটা আজ শিক্ষকরা পার করছেন। এই গ্যাপটা শিক্ষককে দূর করতে হবে।”
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে হবে। তাদের চাহিদা কি তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে একজন শিক্ষককে। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সচেতন, তারা আপনাদের পর্যবেক্ষণ করে। তারা বুঝতে পারে আপনি প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে যাচ্ছেন, নাকি যাচ্ছেন না।”
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ড. ফায়েজ বলেন, “তোমরা আজ গর্বিত গ্রাজুয়েটস। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন নিজেদের বাবা-মাসহ দেশ ও জাতি। তাই সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। তোমরা সবা বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে এসেছ। যারা তোমাদের শিক্ষাদান করলেন, তাদের কথা মনে রেখ।”
অধ্যাপক ড. ফায়েজ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “ছোটবেলায় স্কুলের ছাত্রাবস্থায় বরিশাল এসেছিলাম, তারপর আজ আবার আসলাম। এই সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে জিইউবি। এই বিশ্ববিদ্যালয় চরিত্র গঠন করে কিভাবে বেঁচে থাকতে হয়, তা শেখায়। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে এগিয়ে এসেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
এছাড়াও সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ। অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউজিভির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সোহরাব হোসেন, ইউজিভি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. ইমরান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাবেয়া বেগম, সমাবর্তনের আহ্বায়ক ইউজিভির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।
সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
ঢাকা/পলাশ/মেহেদী