ঈদের ছুটিতে হাউসবোটে চড়ে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ, জেনে নিন খরচ কেমন
Published: 6th, June 2025 GMT
আকাশ মেঘলা, কখনো নামে হালকা বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি ছিটকে এসে লাগে গায়ে। এমন সময়ে কাপ্তাই হ্রদের মাঝখানে আপনি—হ্রদের জলরাশি আর দুই পাশের পাহাড়। এমন অভিজ্ঞতা নিতে ঈদের ছুটিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের হাউসবোটে ।
হাউস বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে থাকা ১৫টি হাউসবোটের মধ্যে এবারের ঈদ উপলক্ষে ১২টি সচল রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ হাউসবোট আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। ৮ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ঈদের ছুটি ঘিরে বুকিং নেওয়া হয়েছে।
গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে হাউসবোটের আগাম বুকিং শুরু হয়। ৪ জুন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। যেভাবে আগাম বুকিং চলছে, তাতে ১-২ দিনের মধ্যে শতভাগ বোট ভাড়া হয়ে যাবে বলে ধারণা মালিকদের।
জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাউসবোট
কাপ্তাই হ্রদে হাউসবোট ব্যবসা শুরু হয় ২০১৯ সালে ‘প্রমোদিনী’ নামে একটি বোট চালুর মধ্য দিয়ে। পরে ‘মাউরুম’, ‘রাঙাতরী’, ‘স্বপ্নডিঙি’সহ যুক্ত হয়েছে আরও বোট। বর্তমানে এখানে চালু আছে ১৫টি হাউসবোট, যার প্রায় সবই দ্বিতল।
হাউসবোটে এক দিন, এক রাত অথবা দুই দিন এক রাতের প্যাকেজে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। প্যাকেজে সাধারণত ঘুমানোর জন্য ৬টি কক্ষে ১২ জন থাকার ব্যবস্থা থাকে। ভাড়ার মধ্যে থাকে খাবার ও হ্রদজুড়ে ঘোরাঘুরি। চুক্তিভিত্তিক ভাড়ার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, ২৫ জন পর্যন্ত পর্যটক একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, ভ্রমণসুবিধাসহ এক রাত এক দিনের জন্য হাউসবোট ভাড়া পড়ে ৫০ হাজার টাকা। খাওয়া বাদ দিয়ে শুধু বোট ভাড়া ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। পুরো বোট দুই দিন এক রাতের প্যাকেজে নিলে খরচ হয় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
ঘাট, খাবার ও বিনোদনের সুযোগ
রাঙামাটি শহরের পর্যটন কমপ্লেক্স ঘাট, শহীদ মিনার ঘাট, রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট, সমতা ঘাট, রাজবাড়ি ঘাট ও শিল্পকলা ঘাট থেকে হাউসবোটে ওঠা যায়। এসব বোট কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান—সুবলং ঝরনা, দ্বীপ, ভিউ পয়েন্ট ও রেস্টুরেন্টে ভ্রমণ করিয়ে আনে।
হাউসবোটে রাতে সৌন্দর্য অন্য রকম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এক র ত
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী