সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, হাওরে আর হাউসবোট যেতে পারবে না। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করেছে জেলা প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের ভ্রমণে কোনো বাধা নেই। তবে এড়িয়ে চলতে হবে কিছু এলাকা।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্বরত) মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে পর্যটকদের কোনো বাধা নেই। তবে ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় হাউসবোট আপাতত যেতে পারবে না। এ ছাড়া পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ করা যাবে না। এ জন্য আমরা কঠোর নজরদারি রাখব।’

আরও পড়ুনটাঙ্গুয়ার হাওরে ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা৮ ঘণ্টা আগে

ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় হাউসবোট যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা। তিনি বলেন, ‘পর্যটকেরা বাইরে হাউসবোট রেখে স্থানীয় মানুষের হাতে বাওয়া ছোট ছোট নৌকায় করে ওই এলাকা ঘুরে দেখবেন। এ ছাড়া শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী), বারিক টিলা, জাদুকাটা নদী, শিমুলবাগান ঘুরতে পারবেন। আমরা মনে করি, হাওরে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।’

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য ‘অবশ্যপালনীয়’ ১২টি নির্দেশনা জারির এক দিন পর গতকাল রোববার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়।

সুনামগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে জেলার তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলায় এই হাওরের অবস্থান। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। এই হাওরের আয়তন ১২ হাজার ৬৫৫ হেক্টর। হাওরে ছোট–বড় ১০৯টি বিল আছে। তবে প্রধান বিল ৫৪টি। হাওরের ভেতরে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য খাল ও নালা। বর্ষায় সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তখন হাওর রূপ নেয় সমুদ্রে।

আরও পড়ুনটাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের মানতে হবে ১২ নির্দেশনা২১ জুন ২০২৫আরও পড়ুনপাহাড়, নদী ও লেকের অপার সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর০৮ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট ঙ গ য় র হ ওর স ন মগঞ জ র হ ওর র ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটিতে বিশেষ ট্রেন ‘টুরিস্ট স্পেশাল’ চলবে ঢাকা–কক্সবাজার রুটে

শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় টানা ছুটি থাকছে এবার। দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা চার দিন বন্ধ থাকবে অফিস–আদালত। লম্বা এই ছুটিতে যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঢাকা–কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম–ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন চালু করছে রেলওয়ে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এসব ট্রেন চলবে। এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ‘ঢাকা স্পেশাল’ চলবে। চট্টগ্রাম থেকে বেলা পৌনে ৩টায় এই ট্রেন ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৮টায়। ৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম স্পেশাল ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়।

এ ছাড়া ট্যুরিস্ট স্পেশাল চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর। বিশেষ এই ট্রেন ৩০ সেপ্টেস্বর ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। কক্সবাজার থেকে এই ট্রেন ছাড়বে বেলা সাড়ে ১১টায়। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন এই ট্রেন চলাচল করবে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি বিশেষ ট্রেনে ১৮টি বগি থাকবে। দিনে আসন থাকবে ৮৩৪টি এবং রাতের বেলায় ৭৮৯টি। ভাড়া নিয়মিত ট্রেনের মতো।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্ম সফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি থাকবে। লম্বা ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে পর্যটকদের চাপ বেড়ে যায়। কক্সবাজারে যাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ট্রেন। তাই যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে। এসব ট্রেনে নিয়মিত আন্তনগর ট্রেনের মতো সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা থাকবে। যাত্রীরা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তার কী হবে
  • পূজার ছুটিতে বিশেষ ট্রেন ‘টুরিস্ট স্পেশাল’ চলবে ঢাকা–কক্সবাজার রুটে