Samakal:
2025-09-18@10:41:32 GMT

খেলায় মন নেই রাজশাহীর

Published: 17th, January 2025 GMT

খেলায় মন নেই রাজশাহীর

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এসে ব্যস্ত ছিলেন দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের বিদ্রোহ থেকে নিবৃত করতে। তিনি সাময়িকভাবে সফলও হয়েছেন। টাকা পাওয়ার আশ্বাসে গতকাল এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলনও করেছেন ক্রিকেটাররা। যদিও তারা বুঝতে পারছিলেন, কোনো কিছুই প্রতিশ্রুতি মতো হওয়ার নয়। কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের এমডি শফিক রহমান লাপাত্তা ছিলেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তিনি। অথচ বুধবার সন্ধ্যার সভায় বিসিবি সভাপতি ফারুক রাজশাহীর ক্রিকেটারদের আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নগদ ২৫ শতাংশ টাকা দেওয়া হবে। চেক দেওয়া হবে আরও ২৫ শতাংশের। যে চেক ১৯ জানুয়ারি নগদায়ন করা যাবে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ২৫ শতাংশ নগদ অর্থ প্রদান করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ফলে আজ ম্যাচ খেলতে নামছেন বিজয়রা। তবে খেলায় মন নেই কারোরই!

গতকাল দিনভর রাজশাহীর ক্রিকেটাররা শান্ত ছিলেন মূলত বিসিবি সভাপতি ফারুকের সম্মানে। কিন্তু বোর্ড সভাপতি সমাধান দিতে না পারলে ম্যাচ বয়কটের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা ছিল । এই সংকট থেকে পুরোপুরি উত্তরণ না হলে রাজশাহীর মালিকানা বিসিবি নিজেদের হাতে নিতে পারে বলে শোনা গেছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে মেসেজে জানতে চাওয়া হয়েছিল মালিকানা বিসিবি নিচ্ছে কিনা। তিনি উত্তরে লিখেছেন– ‘এখনও বলার সময় হয়নি।’ ফাহিমের কথায় একটা বার্তা রয়েছে, ভ্যালেন্টাইন গ্রুপ এগিয়ে না এলে বিসিবি দেখবে। রাজশাহী দলের এমনটা হওয়ারই কথা ছিল। সপ্তম ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে তারা বিপিএলে এসেছে বিসিবি সভাপতির অনুরোধে। শেষমেশ খেলোয়াড়দের টাকা পরিশোধের দায়িত্ব বোর্ডকেই নিতে হতে পারে। যদিও রাত পৌনে ৯টায় দুর্বার রাজশাহীর মালিক শফিক রহমানকে টিম হোটেল রেডিসনে দেখা গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী একজন।

শেষ পর্যন্ত টাকা পেলেও মন খুলে খেলতে পারবেন না রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক বিজয় বলেন, ‘এভাবে খেলা যায় না। টাকা কখন পাব, সে নিশ্চয়তা নেই। ধরে নিলাম আজ (গতকাল) ৫০ শতাংশ টাকা দেবে। বাকি ৫০ শতাংশের কী হবে? টাকার চিন্তা করব না খেলব, বুঝতে পারছি না। আমি তো সিলেট থেকে ঢাকা ফিরে গিয়েছিলাম। সভাপতি স্যার বলাতে এখানে এসেছি।’ বিপিএলের অর্ধেক ম্যাচ হয়ে গেলেও বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি ২৫ শতাংশের বেশি পরিশোধ করেনি। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঢাকা ক্যাপিটাল। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, ৮ ম্যাচে একটি জিতলেও প্রথম কিস্তির ৫০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ম্যাচ জিততে না পারলেও টাকা পেয়ে খুশি ক্রিকেটাররা। ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্সের সম্মানী নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন না ক্রিকেটাররা। কারণ ফরচুন সুজ ও বসুন্ধরা গ্রুপের টাকা দেওয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে। খুলনা টাইগার্সও ক্রিকেটারদের টাকা দেয়। তবে এবার এখন পর্যন্ত এই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও ২৫ শতাংশে আটকে আছে। অথচ বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন, তারুণ্যের উৎসব একাদশ বিপিএলকে ভিন্নভাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হবে। কে জানত, এই তুলে ধরা নেতিবাচক হবে! মূলত ব্যাংক গ্যারান্টি না থাকায় টাকা পাওয়া নিয়ে এত অনিশ্চয়তা।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহের পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ বিশেষ যাতায়াত সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কর্মী নাফিস ইকবাল পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানিয়ে পোস্ট দেন। একইসঙ্গে শাখা সভাপতি সাগর নাইম ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপুও তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের এ সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের জায়গা: ইউজিসি চেয়ারম্যান

ছাত্রদল জানিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাস ছাড়বে। একটি ঢাকা রুটে এবং অপরটি ময়মনসিংহ রুটে যাবে। প্রতিটি বাসে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী এই ফ্রি সার্ভিসের আওতায় যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আগাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গুগল ফর্মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ এই সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন না।

শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী পোস্ট দিয়ে ছাত্রদলের এ পদক্ষেপকে ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

শাখা সভাপতি সাগর নাইম তার পোস্টে বলেন, “প্রতি বছর বিসিএসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের আলো ছড়িয়ে দেন। আমরা চাই এ সুনাম আরো দূরে ছড়িয়ে পড়ুক, আরো উজ্জ্বল হোক। এ ধারাবাহিক সাফল্যের পথে আপনাদের পাশে থাকতে, ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে।”

এ বিষয়ে শাখা সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপু বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। গত বিসিএসে আমাদের বড় ভাই বিসিএস প্রশাসনে প্রথম হয়েছেন। এটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়। সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা এবার পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেছি।”

তিনি বলেন, “বিশেষ করে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক দূরে হওয়ায় অংশ নিতে পারেন না। আবার অনেকে যানবাহন না পেয়ে দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছান। আমরা চাইনি কেউ যেন যাতায়াত সমস্যার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়েন। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের সহায়তায় আমরা এ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি।”

ঢাকা/আবিদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ