জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাকে শুধু হত্যা নয়, দাফনও করে ছেড়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ। তারা দিনের ভোট রাতে করেছে। নতুন প্রজন্মকে ভোট থেকে বঞ্চিত করেছে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। 

শনিবার সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা ও পৌর জামায়াত।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আমরা মানুষের আইন মানি না, আমরা আল্লাহর আইন মানি। আল্লাহর আইন আসলে শয়তানের আইন পালাবে। জুলুম যত আছে, পালাতে বাধ্য হবে, যদি ইসলাম আসে। এ
দেশে যত ইসলাম ওয়ালা আছে, যারা ইসলাম চায়, দেশে কোরানের আইন চালু হোক চায়, আমরা তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে চাই। আমরা বিভিন্নভাবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আগামী দিনের ঐক্য হবে ইসলামের ঐক্য, যেখানে কোরানের আইন চালু করা হবে। 

৫ আগস্টর দিনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন মনে হয়েছিল আল্লাহ তায়ালা ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখি পাঠিয়েছে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, যেভাবে ছাত্র-জনতা, সাধারণ মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বৈরাচার হাসিনা ইঁদুরের গর্তও খুঁজে পায়নি পালানোর জন্য। আল্লামা সাঈদী বলেছিলেন- সময় এমন আসবে
পালাবার জন্য ইঁদুরের গর্ত পর্যন্ত খুঁজে পাবে না। হলো তো তাই। মাটিতে যাওয়ার কোনো সুযোগ হয়নি তার। শেষ পর্যন্ত আকাশে উড়াল দিল স্বৈরাচার।

উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং পৌর জামায়াত আমির ফেরদৌস আহমদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- কুমিল্লা উত্তর জেলা
জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন, সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ, জামায়াতের ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসল ম র আইন

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ