কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে মশালমিছিল করেছেন ‘পদবঞ্চিত’ নেতাকর্মীরা। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক প্যানেল মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় শওকত হাসানকে এবং সদস্যসচিব করা হয় এ কে বিশ্বাসকে।

শওকত পৌর বিএনপির ১১ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাবেক সভাপতি ও এ কে বিশ্বাস পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ঘোষণার পর থেকে আহ্বায়ক কমিটির বিরোধিতা করে আসছে বিএনপির একাংশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমিটি বাতিলের দাবিতে রবিবার সন্ধ্যায় মশালমিছিল বের করেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের পায়রা চত্বর থেকে শুরু হয়ে এনএস রোড হয়ে থানা মোড়ে এসে শেষ হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘‘জেলার আহ্বায়ক কমিটিতে আমাকে যেমন অবহেলা করা হয়েছে, ঠিক তেমনি শহরের আহ্বায়ক কমিটিতেও অবহেলা করা হলো। আমি এবং আমরা দলের জন্য যে সংগ্রাম করেছি বা এখনো করছি, সেটার কিঞ্চিত পরিমাণ মূল্যায়ন পেলাম না।’’

মহিউদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন, জেলা এবং পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে যেসব লোককে পদে রাখা হয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই মানুষ চেনেন না। অথচ তাদের বড় বড় পদে রাখা হয়েছে। আর সংগ্রামী নেতাদের পদবঞ্চিত করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য ও শহর কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না, এর থেকে সুষ্ঠু কমিটি এর আগে হয়েছে। সবাইকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।’’

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ হাজার টাকার শুল্কের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়: শওকত আজিজ

ব্যবসা-বাণিজ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্রমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, একসময় বিটিএমএ যন্ত্রাংশ আমদানি করত। যথাযথ হারে শুল্কও দেওয়া হতো। এ নিয়ে বিতর্ক হয়নি। ছাড়পত্র বিটিএমএর পক্ষ থেকেই দেওয়া হতো।

কিন্তু এনবিআর পুরো বিষয়টি নিজের হাতে নেওয়ার পর জটিলতা বেড়েছে। প্রতিটি ধাপে ছাড়পত্র নিতে হয়। সেই সঙ্গে দেখা যায়, ৩০ হাজার টাকা শুল্ক কর জমা দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ বাস্তবতায় তাঁর পরামর্শ, এনবিআর নিজের সম্পদ গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করুক।

আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে আগামী অর্থবছরের বাজেট–সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এসব কথা বলেন শওকত আজিজ।
এক পণ্যের একাধিক এইচএস কোড আছে বলে মন্তব্য করেন শওকত আজিজ। এ সমস্যা দূর করে এক পণ্য এক এইচএস কোডের অধীন নিয়ে আসা উচিত বলে মত দেন তিনি।

করপোরেট কর প্রসঙ্গে বিটিএমএর প্রস্তাব, দেশের তৈরি পোশাক খাতে যে ১২ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে, তাদের জন্যও সেই একই হারে করারোপ করা হোক। বস্ত্র ও পোশাক খাত পরস্পরের পরিপূরক। ফলে তাদের এ প্রস্তাব অযৌক্তিক নয় বলেই মনে করেন শওকত আজিজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩০ হাজার টাকার শুল্কের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়: শওকত আজিজ