গ্রুপ বি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় শুরু হবে লড়াই। এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। 

আত্মবিশ্বাসী শান্ত

জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রাখতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, “এই সংস্করণে আমাদের দল বেশ ভারসাম্যপূর্ণ এবং আমরা বিশ্বাস করি, এই টুর্নামেন্টে যে কোনো দলকে আমরা হারাতে পারি।”

আরো পড়ুন:

ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের যাত্রা

ভারতের মতো দলের বিপক্ষেও শান্ত কেন এতটা আত্মবিশ্বাসী? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার, “সব দলই ট্রফি জয়ের সামর্থ্য রাখে। তবে আমি এমন একজন, প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব বেশি যে ভাবে না। আমরা যদি নিজেদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারি যথাযথভাবে, যেকোনো দিনে যেকোনো দলকে হারাতে পারি আমরা।”

পরিসংখ্যান ভারতের পক্ষে

দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ৪১ বার। ৩২ বারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রোহিত শর্মার দল। বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৮টিতে। ১টি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছে। আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের সবশেষ জয় ২০০৭ সালে। সেবার ভারত গ্রুপপর্ব থেকেই বাদ পড়ে।  এরপর ২০১১ ওয়ানডে ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষে ছিল বাংলাদেশ। দুবারই জয় দিয়ে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়।

আশায় কোহলি 

 

দলটির অভিজ্ঞ ব্যাটার বিরাট কোহলিও বাংলাদেশকে পেয়ে যেন হাততালি দিচ্ছেন! স্টার স্পোর্টসকে এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, “বাংলাদেশের বিপক্ষে যতবার জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে ভারত, ততোবারই শিরোপা জিতেছে।’’ ২০১১ এবং ২০২৪ সালের আসরের ম্যাচ দুটোর কথা মনে করিয়ে দিলেন কোহলি। এবারও তেমনই আশা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করাটা সবসময় আমাদের জন্য ভালো কাজ করেছে। এবারও আমরা একই প্রত্যাশা করছি।”

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • স্টিভ জবসের পথেই রয়েছেন টিম কুক
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা