পাসপোর্ট, ভিসার ঝামেলা নেই, এয়ার ট্রাভেলের ঝক্কি নেই; ঠিক এসব কারণেই ম্যানসিটিকে হারানোর শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ হিসেবে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকেই চেয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার এমবাপ্পে। পরে আনুষ্ঠানিক ড্রতেও দুই স্প্যানিশ জায়ান্টের মধ্যেই ম্যাচ পড়ে। আজ রাতে কোয়ার্টারে ওঠার সেই লড়াইয়ের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে এসে খেলবে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। 

একই শহরের পাশাপাশি দুটি ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচ ঘিরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও মাদ্রিদ ডার্বির উত্তেজনা বইছে। এই তো গত মাসের ৯ তারিখেই দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল লা লিগায়। ১-১ গোলে সেই ম্যাচের উত্তেজনাও ভাগাভাগি হয়ে যায়। তা ছাড়া দু’দিন আগেই রিয়াল বেটিসের কাছে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ভুলে গেলে চলবে না, এটা লা লিগা নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। আর সেখানে রিয়াল মাদ্রিদ মানেই রাজকীয় কিছু। 

এ পর্যন্ত স্বদেশি এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। যার মধ্যে পাঁচবার তারা নকআউট পর্বের লড়াইয়ে নেমেছে। রেকর্ড বলছে, কোনোটিতেই সফল হয়নি অ্যাতলেটিকো। পাঁচবারই তাদের বিদায় করে পরের রাউন্ডে গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রেকর্ড এটাও বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ দু’বারের দেখায় রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ