নব্বই দশকের শেষ দিকের ঘটনা। আমি তখন একটি বাম ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক। তখন সক্রিয় প্রায় সব ছাত্র সংগঠনের প্রচারের অন্যতম উপায় ছিল দেয়াল লিখন। আমরাও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলাম না। 

দেয়াল লিখনকে বলা হতো ‘চিকামারা’। শব্দবন্ধটির উদ্ভব ষাটের দশকের আইয়ুববিরোধী আন্দোলনকালে। তৎকালীন ছাত্রনেতাদের কাছে শুনেছি, কাজটি গভীর রাতে হতো বলে পুলিশের ঝামেলা এড়াতে শব্দবন্ধটি ব্যবহৃত হতো। কিন্তু আমাদের চিকামারার একটা টিম এক দিন ওই ঝামেলা এড়াতে ব্যর্থ হয়। 

দেশে নির্বাচিত সরকার ছিল; দেয়াল লিখন নিয়ে কারও তেমন আপত্তি ছিল না। তবুও এক গভীর রাতে কাঁটাবন এলাকায় চিকামারার সময় রমনা থানার টহল পুলিশ আমাদের টিমকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ ভ্যানটি আমাদের টিমকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোরবেলায় রমনা থানায় যায়। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রমনা থানার অধীনে ছিল। থানার ফোন থেকেই ওই টিমের একজন সংগঠনের অফিসে ফোন করে বিষয়টি জানান। আমি রাতে সংগঠনের অফিসেই ছিলাম; আরেকজন সহকর্মীসহ রমনা থানায় ছুটে যাই। কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, উদ্বেগের কিছু নেই। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি রাতে তাদেরকে একটা নির্দিষ্টসংখ্যক আটক বা গ্রেপ্তার দেখাতে হয়। সেই রাতে অন্যভাবে কোটা পূরণ না হওয়ায় টহল পুলিশ আমাদের টিমকে তুলে নেয়। সবাইকে ছেড়ে দেন তিনি। 

আটকের কারণটি শোনার পর আমাদের মধ্যে হাস্যরস তৈরি হলেও, মানবাধিকার প্রশ্নে এটা গুরুতর ঘটনা। ঘটনাটি মনে পড়ল গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্ট দেখে। ৪ মার্চ প্রকাশিত সমকাল লিখেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১২ হাজার ৫০০ জন। প্রশ্ন উঠেছে, এর মধ্যে কতজন প্রকৃত অর্থে অপরাধে যুক্ত? অন্তত সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ভিডিও ও ছবি দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, সিংহভাগই খেটে খাওয়া মানুষ। আমার সন্দেহ, পুলিশ ওই প্রতিদিনের নির্ধারিত কোটা পূরণে এই সিটিং ডাক বা সহজ শিকারদের তুলে আনছে না তো? গ্রেপ্তারদের চেহারা দেখেই বোঝা যায়, এরা হয় ভাসমান শ্রমিক কিংবা ফেরিওয়ালা; ফুটপাতে বসে বা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে নানা জিনিস বিক্রি করে পেট চালায়। এ শ্রেণির মানুষের মানবাধিকার যতটা কাগজে আছে, ততটা বাস্তবে নেই। এলিট মানবাধিকারকর্মীদের কাছেও এর আবেদন নেই বললেই চলে। যে কোনো উছিলায় তাদেরকেই তুলে নেওয়া যায়।

বিগত সরকারের আমলেও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কথা বলে মাঝে মাঝেই এ ধরনের অভিযান দেখা যেত, যা প্রধানত চালাত পুলিশ। সেই সময় গণগ্রেপ্তারের সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠত। বলা হতে পারে, এখন চলছে যৌথ অভিযান, যেখানে পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ড সদস্যরাও আছেন। তাই এখানে আগের মতো অন্তত গ্রেপ্তার বাণিজ্যের সুযোগ নেই। কিন্তু এতে কি গ্রেপ্তার কোটা পূরণের পুলিশি ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা যায়?

‘ডেভিল হান্ট’ নামটিই বা কী ইঙ্গিত করে? ডেভিল মানে শয়তান। অর্থাৎ অপরাধ প্রমাণের আগেই গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে শয়তান ডাকা হচ্ছে! মানবাধিকারের কোনো সংজ্ঞাই তা অনুমোদন করে না। এ কারণে অভিযানটির শুরু থেকেই বিভিন্ন মহল বিশেষত নামটি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদরদপ্তর সূত্র উল্লেখ করে ৪ মার্চ সমকাল লিখেছে, খোদ প্রধান উপদেষ্টাও নামটির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। সম্ভবত সে কারণেই সম্প্রতি এ নামে অভিযান না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

নাম বদলালেও ‘বিশেষ অভিযান’ এখনও চালানো হচ্ছে। মনে আছে নিশ্চয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, যতদিন ডেভিলের অস্তিত্ব থাকবে ততদিনই এই অপারেশন চলবে। উপরন্তু, যদিও ইদানীং রহস্যময় কোনো কারণে পুলিশ আর গ্রেপ্তার সম্পর্কিত তথ্য জানাচ্ছে না; ৪ মার্চ সমকাল লিখেছে, ডেভিল হান্টসহ চলমান বিশেষ অভিযানের ২১ দিনে সারাদেশে ৩২ হাজার ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট, ডেভিল হান্ট বা বিশেষ অভিযান– যে নামেই ডাকা হোক, চলমান অভিযানে গণগ্রেপ্তার ভিন্ন কিছু নয়। 

যদি সত্যিই ‘ডেভিল’ ধরা পড়ত, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এর ছাপ থাকার কথা। উপরন্তু, আইনশৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে ‘মব’ চলছেই। মঙ্গলবারও গুলশানের মতো জায়গায় তল্লাশির নামে একটা বাড়িতে জোর করে ঢুকে এক দল তরুণ সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিল। পুলিশ ও সেনাসদস্যরা খবর পেয়ে অকুস্থলে এলেও তরুণরা নিরাপদে সরে যেতে পারল, তার ব্যাখ্যা কী? এ তো চলমান মবের মুল্লুকেরই প্রতিচ্ছবি।

বিগত সরকারের সময় যেসব মানবাধিকারকর্মী সোচ্চার ছিলেন, তারা এখন চুপ কেন? যেহেতু ‘ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়েছিল মুখ্যত আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে এবং গণঅভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া দলটির প্রতি সামান্য সহানুভূতি দেখালেও কাউকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা পেতে হচ্ছে, সম্ভবত সে কারণে কেউই অভিযানটি নিয়ে গলা উঁচু করার সাহস করছেন না।

প্রসঙ্গত, অভিযানের প্রথম কয়েক দিন প্রায় সব সংবাদমাধ্যমই পুলিশের তথ্য উদ্ধৃত করে বলেছিল, গ্রেপ্তারদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সদস্য বা সমর্থক। উপরন্তু, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ভাঙচুরের পর গোটা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে হামলা, আগুন লাগানোর পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার কাছে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হকের বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে সে ঘটনায় প্রথমবারের মতো হামলাকারীরা স্থানীয় মানুষদের প্রতিরোধের মুখোমুখি হলে অনেক ছাত্রনেতা-কর্মী আহতও হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের চাপের মুখে সরকার অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করে।

আওয়ামী লীগকে সমর্থন করলেই কি একজনকে ‘অপরাধী’ সাব্যস্ত করা যায়? শীর্ষ নেতাসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা হত্যা ও বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত, সন্দেহ নেই। তাদের অনেকেরই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচার চলছে। কিন্তু তাদের অপরাধে তো দলটির সাধারণ কর্মী বা সমর্থকের মানবাধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না!

বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমার বরাবরই পজিশন হলো যে, আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। আমাদের এই দেশের ওপরে সমান অধিকার। আমরা সব ভাই ভাই। আমাদেরকে এই দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে। কাজেই যে মত-দল করবে, তার মতো করে সবকিছু করবে। এই দেশ থেকে কারও অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো উপায় নেই। কিন্তু যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিত, তার বিচার হতে হবে। এটুকুই শুধু (৩ মার্চ ২০২৫)।’

বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার ওপরে এখানে কেউ নেই। আমার প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট সবাই রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর এ বক্তব্য মেনে চলবে।

সাইফুর রহমান তপন: সহকারী সম্পাদক, সমকাল

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট স গঠন র এই দ শ আম দ র আওয় ম অপর ধ সমক ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘কৃষির উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে’

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, “জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম প্রধান অংশীদার ও পরীক্ষিত বন্ধু। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)-এর মাধ্যমে দেশটি বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে আসছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে।”

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত Saida Shinichi-এর সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা বিশেষ করে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, ফসলের পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট ও সংরক্ষণ, জলবায়ু ও স্মার্ট কৃষি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, ২০২৭ সালে জাপানের ইয়োকোহামাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সপো’তে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, কৃষি বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশ সংস্কার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যু সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “জাপান বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।” 

উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “২০২৭ সালে জাপানের ইয়োকোহামা'তে ‘আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সপো’ অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক এ এক্সপো'তে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ।”

উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। আর জাপান কৃষি খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারী দেশ। তাই জাপান বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিশেষ করে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, ফসলের পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট ও সংরক্ষণ, জলবায়ু ও স্মার্ট কৃষি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা করতে পারে।” 

তিনি বলেন, “জাপান বাংলাদেশের কৃষি পণ্য সংরক্ষণে আধুনিক হিমাগার স্থাপন ও কুলিং ভ্যান সরবরাহ করে সহযোগিতা করতে পারে। তাছাড়া জাপান আমাদেরকে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দিয়ে সহায়তা করতে পারে।” 

তিনি এসময় রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “কৃষি বিষয়ক দু'দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সর্বশেষ সভা ২০২৪ সালের মে মাসে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দ্রুত এ সংক্রান্ত পরবর্তী সভা আয়োজন করা দরকার।” 

উপদেষ্টা জানান, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী সভা এ বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ সভা আয়োজনের বিষয়ে বাংলাদেশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। তবে এটির আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে এবং আমরা এ ব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছি।” 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো সুযোগ নেই, বরং দিন দিন এটির উন্নতি ঘটবে বলে আমি আশা করছি।”

পুলিশের সামর্থ্য ও গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতির তুলনায় বর্তমানে পুলিশের সামর্থ্য, মনোবল ও বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি বেড়েছে।” 

তিনি এসময় আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জাপানের সহায়তা কামনা করেন। তাছাড়া তিনি নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে পেট্রোল ভেসেল ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা এবং অধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে জাপানে উন্নত প্রশিক্ষণে প্রেরণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন। 

রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী ইন্টারপোল নির্বাচনে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে জাপানের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হবে। উপদেষ্টা এ পদে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাপানকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস প্রদান করেন।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু 
  • বিএনপির শ্রমিক সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল
  • সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের ৪৫% রাজনৈতিক
  • নির্বাচনে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করাসহ ১২ প্রস্তাব
  • ‘কৃষির উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে’
  • ডিবির অভিযানে আ.লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেপ্তার ৭
  • পুলিশ সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার, নির্বাচনী নির্দেশনা পাবে আইনশৃঙ্খলা ব