ঢাবির ‘বি’ ইউনিটে উত্তীর্ণ ৯.৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী
Published: 6th, March 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তির পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর এই ইউনিটে ৯.৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এ বছর মানবিকের ১৭০৭ আসন, বিজ্ঞানের ৯৪৪ আসন, এবং ব্যবসায় শিক্ষার ২৮৩ আসন নিয়ে কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯০৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে মানবিকে ৫৭১৪ জন, বিজ্ঞানে ৪৮৫৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষার ৭৩৯ জন পাশ করেছেন।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ প্রতিটি শিক্ষার্থীরা তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাশের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর এর মাধ্যমে ভর্তির ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন। এ ছাড়াও গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক অথবা টেলিটক নম্বর থেকে DU ALS টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি মেসেজে ফলাফল জানা যাবে।
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ১৩ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম কলা অনুষদের ডিন অফিস হতে সংগ্রহ করতে হবে এবং যথাযথভাবে পূরণ করে উক্ত সময়ের মধ্যে ডিন অফিসে জমা দিতে হবে।
ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ০৯ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত কলা অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ফল ফল ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?