গুগল সার্চে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো এআই মোড, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 7th, March 2025 GMT
সার্চ ইঞ্জিনকে আরও উন্নত ও কার্যকর করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে গুগল। এরই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে ‘এআই মোড’। এ সুবিধা চালুর ফলে প্রচলিত অনুসন্ধান পদ্ধতির পাশাপাশি চ্যাটবটের মতো আরও বিশদ ও বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে শুধু গুগল ওয়ান এআই প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীরা নতুন মোডটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এআই মোড সুবিধা ল্যাবস বিভাগ থেকে চালু করে ব্যবহার করতে হবে। এআই মোডটি জেমিনি ২.
নতুন এআই মোডটি মূলত এআই ওভারভিউ প্রযুক্তির পরবর্তী সংস্করণ। এ বিষয়ে গুগলের সার্চ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি স্টেইন এক ব্লগ বার্তায় জানিয়েছেন, এআই মোড চালু থাকলে ব্যবহারকারীরা বর্তমানের তুলনায় আরও জটিল প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর জানতে পারবেন। পাশাপাশি অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সহায়ক বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারবেন তারা। নতুন এই সুবিধা চালুর ফলে এআই ওভারভিউয়ের পরিধি আরও বাড়বে। ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই জটিল প্রশ্নের নির্ভরযোগ্য উত্তর জানার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুনএআই সার্চে অদ্ভুত পরামর্শ দিচ্ছে গুগল২৭ মে ২০২৪গুগলের তথ্যমতে, কিছু অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে যদি এআই নির্ভরযোগ্য উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রচলিত ওয়েব অনুসন্ধানের ফলাফলই দেখানো হবে। এ বিষয়ে গুগল এক ব্লগ বার্তায় জানিয়েছে, ‘আমাদের লক্ষ্য, যত বেশি সম্ভব এআই দিয়ে তৈরি উত্তর দেওয়া। তবে, যদি কোনো ক্ষেত্রে এআই যথেষ্ট সহায়ক বা নির্ভরযোগ্য না হয়, তাহলে প্রচলিত ওয়েব অনুসন্ধানের ফলাফলই দেখানো হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র প রচল ত এআই ম ড প রব ন ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।