এক বছরের সাজা এড়াতে পালিয়ে ছিলেন ৪ বছর, অবশেষে গ্রেপ্তার
Published: 16th, August 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নাফিউর রহমান ওরফে ফয়সাল (৩৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০২১ সালে মাদকের একটি মামলায় চাঁদপুরের একটি আদালতের রায়ে তাঁর এক বছর পাঁচ মাসের সাজা হয়। তবে সাজা এড়াতে তিনি চার বছরের বেশি সময় বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য কলাদী এলাকা থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হন নাফিউর। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানায়।
নাফিউর রহমানের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার কলাদী এলাকায়। তিনি ওই এলাকার খসরু মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য আইনে মোট ২৫টি মামলা আছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নাফিউরকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাঁকে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্যান্য মামলা চলমান আছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন প্রবাসী তরুণ
চাঁদপুরের সৌদিপ্রবাসী মেহেদী হাসানের (২৫) বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাতে নিয়ে যাবেন। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বজনদের নিয়ে ভাড়া করা হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে কনের বাড়িতে যান মেহেদী হাসান। বিয়ের পর নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। এ ঘটনায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।
মেহেদী হাসান মতলব উত্তর উপজেলার এমএম কান্দি গ্রামের আবদুল বারেক দেওয়ানের ছেলে। মেহেদীর নববধূর নাম আবিদা সুলতানা। তিনি একই উপজেলার রুহিতারপাড় গ্রামের মো. আল আমিনের মেয়ে। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় কনের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে মেহেদী হাসান সৌদি আরবে যান। বিয়ে করার জন্য কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। কনে দেখা ও বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। আজ শুক্রবার রুহিতারপাড় গ্রামের একটি মাঠে বরপক্ষকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি নামলে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় করেন। হেলিকপ্টার থেকে নেমে স্বজনদের নিয়ে মেহেদী হাসান হেঁটে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি তাঁর গ্রামে পৌঁছালে ভিড় করেন এলাকাবাসী।
মেহেদী হাসান বলেন, তাঁর বাবার এই ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে তিনি ও তাঁর পরিবার খুবই আনন্দিত। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
মেহেদী হাসানের বাবা আবদুল বারেক দেওয়ান বলেন, ইচ্ছা ছিল ছেলে বড় ও প্রতিষ্ঠিত হলে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে তাকে বিয়ে করাবেন। আজ তাঁর সে ইচ্ছা পূরণ হলো। এতে তিনি খুবই আনন্দিত।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনা জানার পর হেলিপ্যাড এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।