চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নাফিউর রহমান ওরফে ফয়সাল (৩৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০২১ সালে মাদকের একটি মামলায় চাঁদপুরের একটি আদালতের রায়ে তাঁর এক বছর পাঁচ মাসের সাজা হয়। তবে সাজা এড়াতে তিনি চার বছরের বেশি সময় বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য কলাদী এলাকা থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হন নাফিউর। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানায়।

নাফিউর রহমানের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার কলাদী এলাকায়। তিনি ওই এলাকার খসরু মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য আইনে মোট ২৫টি মামলা আছে।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নাফিউরকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাঁকে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্যান্য মামলা চলমান আছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মতলব উত্তরে মাথায় গুলির চিহ্ন ও পা বাঁধা অবস্থায় অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মিজানুর রহমান (৩২) নামের এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্নসহ দুই পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর মরদেহ পড়ে ছিল একটি সড়কের পাশে।

আজ বুধবার সকালে উপজেলার এখলাশপুর গ্রামের বকুলতলা এলাকা থেকে মিজানুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান এবং জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে জানান। খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত মিজানুর রহমান এখলাশপুর গ্রামের মৃত ফজলুল্লাহ কাজীর ছেলে। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজ। স্ত্রী শারমিন আক্তার ও এক শিশুসন্তান নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং সেখানে অটোরিকশা চালাতেন।

সকালে বকুলতলা এলাকায় সড়কের পাশে মিজানুর রহমানের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা শরিফ হোসেনসহ কয়েকজন। তাঁদের ভাষ্য, মিজানুর রহমানের মাথায় গুলির চিহ্ন ছিল, দুই পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। চোয়াল ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নও দেখা যায়। তাঁরা মরদেহটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তাঁরা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেন।

নিহত মিজানুর রহমানের ছোট বোন শাহনাজ আক্তার বলেন, তাঁর ভাইকে পূর্বশত্রুতার জেরে নারায়ণগঞ্জ বা এখলাশপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে সড়কে ফেলে গেছে। তবে কার সঙ্গে শত্রুতা ছিল, জানেন না। তাঁর স্ত্রী এলে হয়তো জানা যাবে। তিনি ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করেন।

মিজানুর রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কে বা কারা করেছে, তদন্তে বেরিয়ে আসবে। পূর্বশত্রুতা বা অন্য কোনো বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তাঁরা। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মতলব উত্তরে মাথায় গুলির চিহ্ন ও পা বাঁধা অবস্থায় অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার