স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া ঠেকাতে কী পরামর্শ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ
Published: 17th, September 2025 GMT
সঙ্গীকে ঠিকমতো বুঝতে না পারাটাকেই অনেকে দাম্পত্য কলহের অন্যতম কারণ মনে করেন; কিন্তু ব্যাপার আসলে উল্টো। সঙ্গীকে নয়; বরং নিজেকে বুঝতে না পারলেই সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ঘন ঘন ঝগড়া হলে সঙ্গীর দোষ খোঁজার আগে নিজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সঙ্গীর প্রতি নিজের আচরণ নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে। নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে।
সঙ্গীর ব্যক্তিস্বাধীনতা নষ্ট করা যাবে না। এটি অত্যন্ত খারাপ মানসিকতা। সঙ্গীর কোনো কিছু আপনার অপছন্দ হলে তাকে বুঝিয়ে বলুন। সম্ভব হলে নিজে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সম্পর্কে দুজনকেই ছাড় দিতে হবে। অন্যের ওপর জেদ দেখালে ঝগড়া আরও বাড়বে।
আরও পড়ুনযেভাবে তৈরি হলো সংসদ ভবন১ ঘণ্টা আগেনিজের সিদ্ধান্ত সঙ্গীর ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। যেকোনো পারিবারিক বা অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। আপনার মতামত তাঁকে খুলে বলুন, তাঁর মতামতকেও গুরুত্ব দিন। কিছু করার আগে সঙ্গীর সম্মতি নিন। প্রয়োজন মনে না করলেও আলোচনা করুন, এতে আপনার প্রতি বিশেষ অনুভূতি জন্মাবে। এসব ছোট বিষয় আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসা ও আস্থা বাড়বে।
সঙ্গীর কোনো কিছু আপনার অপছন্দ হলে তাকে বুঝিয়ে বলুন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫