চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে প্রস্তুত লিওনেল মেসি। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় ভোরে এমএলএসের ম্যাচে এমএলএস কাপ চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সির মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। মেসির এ ম্যাচে মায়ামির স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো গতকাল জানিয়েছেন, আর্জেন্টাইন এ কিংবদন্তি সুস্থ হয়ে উঠে এখন দলে ফিরতে প্রস্তুত। ডান পায়ে চোট পাওয়ায় মায়ামির হয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি।

আরও পড়ুনঅজ্ঞান হয়ে মাঠের বাইরে, জ্ঞান ফেরার পর করেন হ্যাটট্রিক২ ঘণ্টা আগে

২ আগস্ট লিগস কাপে নেকাখসার বিপক্ষে প্রথমার্ধে ডান পায়ের মাংসপেশিতে চোট পান ৩৮ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। ১১ মিনিটের মাথায় মাঠ ছেড়ে যেতে হয় আটবারের এই ব্যালন ডি’অর জয়ীকে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর ১৩ আগস্ট দলীয় অনুশীলনে ফেরেন মেসি। এখন ম্যাচ খেলার মতো ফিট তিনি। সাংবাদিকদের মাচেরানো বলেন, ‘লিও ভালো আছে। বুধবার থেকে দলের সঙ্গে অনুশীলন করছে। অদ্ভুত কিছু না ঘটলে শনিবারের ম্যাচে তার স্কোয়াডে থাকা উচিত।’

ইন্টার মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ