দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করেছেন বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে আগামী ৫ সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না এলে আবার কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

দুই দফা দাবিতে আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে কর্মবিরতি শুরুর কথা ছিল চিকিৎসকদের। তবে আগামী ১২ সপ্তাহের জন্য এ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন তারা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।

এর আগে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের বাগান গেটে মৌন মিছিলে সমবেত হন চিকিৎসকরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে আসেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা.

সায়েদুর রহমান। তিনি আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা কর্মবিরতি স্থগিত করেন।

তবে আগামী ৫ সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না এলে আবার কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানান চিকিৎসকরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক চ ক ৎসকর

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গতকাল বিকেলে ৪টায় তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে রয়েছে তিনটি বড় ব্লক। বাইপাস সার্জারিই সর্বোত্তম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। প্রথমবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বার পড়ে গেলে আর দাঁড়াতে পারেননি। পরে তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় তিনি বাসায় ফিরে যান।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই সকালে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই ধরা পড়ে হার্টের তিনটি ব্লক।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চিকিৎসকরা আরো কিছু পরীক্ষা করছেন। সেগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই বাইপাস সার্জারির সময় নির্ধারণ করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমানের পিএস মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ড্যাবের নির্বাচন ৯ আগস্ট, দুটি প্যানেলই শক্ত
  • জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত