বিএসইসির সার্ভেইল্যান্সে সিস্টেম ব্যবহার অনিয়মের শঙ্কা: দুদক
Published: 10th, March 2025 GMT
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।
সোমবার (১০ মার্চ) বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমসের কার্যক্রম তদন্তে এসে তারা সাংবাদিকদের এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
এদিন বিএসইসি কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু করে দুদকের অ্যানফোর্সমেন্ট দল। এ অভিযান পরিচালনার কাজে নেতৃত্ব দেন দুদকের দুইজন সহকারী পরিচালক। এ ছাড়া কাজের সহযোগিতা করেন আরো দুইজন সদস্য।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিএসইসির সার্ভেল্যান্স সিস্টেমটি নির্ধারিত রুমের বাহিরে আলাদা আরেক রুমে সংযোগ ছিল। অথচ সার্ভেল্যান্স সিস্টেম পুঁজিবাজারের সংবেদনশীল অংশ। এখান থেকে তথ্য পাচারের মাধ্যমে বাজারে ম্যানুপুলেশন হতে পারে। প্রাথমিকভাবে এখানে অনিয়ম হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় রেগুলেটরি ইনফরমেশন সিস্টেম সফটওয়্যার, যেটা ইনস্টল করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি। যে প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ইনস্টল হয়নি, ব্যবহার হয়নি, পিসিআর হয়নি এবং হস্তান্তর হয়নি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এই প্রকল্পটির বাজেট ছিল ২৮ কোটা টাকা। প্রাথমিকভাবে এখানে অনিয়ম হতে পারে বলে মনে হয়েছে। এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র আরো যাচাই করতে হবে। এ নিয়ে প্রকল্প পরিচালকের সাইফুর রহমানের সঙ্গে কথা বলব।’’
ঢাকা/এনটি/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল