নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারি চুরির অপবাদে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত, তরুণ আটক
Published: 19th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারি চুরির অপবাদে জিহাদ (১৭) নামের এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার লামাপাড়ার দরগাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জিহাদ পটুয়াখালীর সদর থানার আউলিয়াপুরের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তাঁরা সপরিবার ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম লামাপাড়ার বসবাস করত। অন্যদিকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আরমান (১৮) লামাপাড়ার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, লামাপাড়া দরগাহ মসজিদের সামনে আরমানের চাচা শাহিন মিয়ার একটি ফলের দোকান আছে। গতকাল ইফতারের পর রাত পৌনে আটটার দিকে শাহিন সেই দোকান থেকে বাইরে বের হন। কিছুক্ষণ পর দোকানে ফিরে দেখেন, বাল্ব জ্বালানোর কাজে ব্যবহৃত ব্যাটারিটি কে বা কারা চুরি করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে জিহাদ সহ দুই কিশোরকে ওই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ ঘটনা জানতে পেরে আরমান ঘটনাস্থলে গিয়ে জিহাদ ও তাঁর দুই সহযোগীকে চুরি করেছে কি না, জিজ্ঞেস করেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে আরমান ক্ষুব্ধ হয়ে বাসায় গিয়ে ‘সুইচ গিয়ার’ এনে জিহাদকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হয় জিহাদ।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আরমানকে আটক করেন এবং জিহাদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে জিহাদ মারা যায়। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।