সমবায় অধিদপ্তরের আওতাধীন পরিচালন (রাজস্ব) বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এসব পদে নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ১৫ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সে সময় যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ১৭ ক্যাটাগরির পদে মোট ৫১১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

১.

পদের নাম: পরিদর্শক

পদসংখ্যা: ৩৪

যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি

বেতন স্কেল: ১১,৩০০ থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।

২. পদের নাম: মহিলা পরিদর্শক

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি

বেতন স্কেল: ১১,৩০০ থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।

৩. পদের নাম: প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ১৬

যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি

বেতন স্কেল: ১১,৩০০ থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।

৪. পদের নাম: ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর

পদসংখ্যা: ১৯

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি

বেতন স্কেল: ১১,৩০০ থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।

৫. পদের নাম: কম্পিউটর

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বা পরিসংখ্যানসহ স্নাতক ডিগ্রি

বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা সংস্থায় চাকরি, বেতন ডলারে, আবেদন শেষ বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ ২০২৫

৬. পদের নাম: সহকারী পরিদর্শক

পদসংখ্যা: ১০৫

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি

বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

৭. পদের নাম: মহিলা সহকারী পরিদর্শক

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি

বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

৮. পদের নাম: সহকারী প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ১১

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি

বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

আরও পড়ুন‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে অনুমোদন পেল নতুন বিশ্ববিদ্যালয়১৮ মার্চ ২০২৫

৯. পদের নাম: সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দ হতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

১০. পদের নাম: ড্রাইভার বা ফিল্ম ভ্যান ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ৬

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাসসহ হালকা বা ভারী যান চালানোর বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

১১. পদের নাম: তাঁত সুপারভাইজার

পদসংখ্যা: ৫

যোগ্যতা: সরকারি বয়ন স্কুল বা স্বীকৃত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট থেকে কারিগরি কোর্স পরীক্ষায় পাস হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

আরও পড়ুনশেষে রোল খুঁজতে গিয়ে দেখি প্রথমটাই আমার১০ মার্চ ২০২৫

১২. পদের নাম: ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে বাণিজ্যে এইচএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

১৩. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ১০৮

যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

১৪. পদের নাম: ডেটা এন্ট্রি অপারেটর

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

আরও পড়ুনএকসময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন, এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার২০ ঘণ্টা আগে

১৫. পদের নাম: সহকারী ফিল্ম অপারেটর

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এসএসসি বা সমমান পাস। প্রজেক্টর বা জেনারেটর চালানোর কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৮০০ থেকে ২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

১৬. পদের নাম: নৈশপ্রহরী

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। তবে শারীরিক যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

১৭. পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ১৮৯

যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।

বয়সসীমা

২০ মার্চ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে এই লিংকে।

পরীক্ষার ফি

পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৪ নম্বর পদের জন্য টেলিটকের ভ্যাট সার্ভিসসহ ১৬৮ টাকা, ৫ থেকে ১৪ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা এবং ১৫ থেকে ১৭ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ফি পরিশোধ করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা

২০ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন ও র ঙ ম ট সমম ন র ড গ র সমম ন প স ৯ ৩০০ থ ক পদ র ন ম প রব ন ন য গ যত সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

অনশনের পর ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ক

নিরাপত্তার অজুহাতে গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির ছয়জন সমন্বয়ককে। আটক থাকার এক পর্যায়ে তাঁরা অনশন শুরু করেন। ৩২ ঘণ্টা অনশনের পর ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) দুপুরে ছয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয় থেকে কালো রঙের দুটি গাড়িতে করে যাঁর যাঁর ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও আবু বাকের মজুমদারকে ছয় দিন; সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে পাঁচ দিন এবং নুসরাত তাবাসসুমকে চার দিন ডিবি কার্যালয়ে তখন আটক রাখা হয়েছিল। এই ছয় সমন্বয়কের মধ্যে নাহিদ এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক। আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। সারজিস, হাসনাত ও নুসরাত এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আবু বাকের এখন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক।

ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার সেই ঘটনা সম্পর্কে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আমার বোনের বাসার লোকেশন (ঠিকানা) দিয়েছিলাম ডিবিকে। ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) ডিবি তাদের তত্ত্বাবধানেই আমাদের ছয়জনকে যার যার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। বোনের বাসায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর আমি প্রথমে আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানিকনগরের একটা জায়গায় দেখা করি। আমরা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। কীভাবে এক দফার (সরকার পতনের) ঘোষণায় যাওয়া যায়, সে বিষয়েও সেদিন আমরা চিন্তা করি।’

সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচির আওতায় গণসংগীত, পথনাটক, দেয়াললিখন, স্মৃতিচারণা ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয় রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১৬টি জেলা ও মহানগরে। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কিছু জায়গায় শিক্ষক ও আইনজীবীরা অংশ নেন। তবে কোথাও কোথাও কর্মসূচিতে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অনেক জায়গায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়।

প্রতিবাদ, বিক্ষোভ

সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উদ্যোগে পৃথক সমাবেশ-মানববন্ধন ও মিছিল করা হয়। পাশাপাশি সেদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা।

‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের কঠোর দমনপ্রক্রিয়া ও গুলিতে ছাত্র-জনতা হত্যা’র প্রতিবাদে ১ আগস্ট বেলা ১১টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদের সামনে সমাবেশের কর্মসূচি ছিল শিল্পী ও কলাকুশলীদের। ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে তাঁরা প্রথমে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ–সংলগ্ন ইন্দিরা রোডের প্রান্তে সমবেত হন। সেদিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিল্পীরা ব্যানার-পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

পরে শিল্পীরা ইন্দিরা রোড দিয়ে শোভাযাত্রা করে ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের কাছে সমবেত হন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা সেখানে সড়কের পাশে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ছাত্র-জনতার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, যে বর্বর পন্থায় শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দমন করা হচ্ছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে ঘটতে পারে না।

দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পীদের সমাবেশ থেকে সেদিন শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বিচার, গণগ্রেপ্তার, মামলা ও হয়রানি বন্ধের দাবি করা হয়। সমাবেশ থেকে আরও জানানো হয়, শিল্পীরা তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

সেদিন বিকেলে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ের সামনে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’–এর ব্যানারে মানববন্ধন করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। মানববন্ধনে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, গুলি করে শিশুসহ নির্বিচার মানুষ হত্যার তদন্ত জাতিসংঘের অধীনে করতে হবে।

সেই মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল (এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা) বলেন, হত্যার বিচার করতে হবে। হুকুমদাতাদেরও বিচার করতে হবে।

কূটনীতিকদের ‘ব্রিফ’

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে ১ আগস্ট বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেদিন বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করা হয়। সেই ব্রিফিংয়ে বিদেশি কূটনীতিকেরা সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ