সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিএনপিতে ঠাই নাই : টিটু
Published: 26th, March 2025 GMT
ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের সকলের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিএনপিতে ঠাই নাই।
যারা দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কমর্মকান্ড ও চাঁদাবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা তারেক রহমানের নিদর্দেশ অমান্য করে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করছেন তাদের বিরুদ্ধে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এটা দলের নেতাকর্মীদের মাথা রাখা উচিৎ।
বুধবার (২৬ মার্চ) বেলা ১২ টায় ফতুল্লার নূরবাগ পুরাতন সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় নূরবাগ যুব ফোরামের উদ্যোগে শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা সব জায়গায় অসহায় ও গরীব মানুষের মাঝে ঈদের উপহার দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের প্রতিটি এলাকার নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের আদেশ মেনে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। ঈদ উপহারের মধ্যে কখনো জামা কাপড় কখনো খাদ্য দ্রব্য দেয়া হচ্ছে।
এদিকে নুরবাগ যুব ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ উপহার এর মধ্যে ১৫০ জন শিশুর হাতে পাঞ্জাবি-পাজামা, ফ্রক, থ্রি-পিসসহ ঈদের রঙিন পোশাক তুলে দেয়া হয়।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (ইউপি সদস্য ৪.
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নুরবাগ যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ সোহান, কুতুবপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি নাদিম ইসলাম জয়, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শামীম, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ, ইব্রাহীম, ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আব্দুর রহিম ও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন রব গ য ব ফ র ম র ত র ক রহম ন র ঈদ উপহ র ব এনপ র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?