‘আপনার যাকাতে গড়ে উঠুক স্বনির্ভরতার বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’-এর উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে সেলাই মেশিন ও ঈদ বাজার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। 

শনিবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৪টায় ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ২০০ জন সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের মাঝে সেলাই মেশিন ও ঈদ বাজার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সমাজসেবিকা শওকত আরা খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অথিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য কাজী মঈন উদ্দিন।

ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’ অসহায় মানুষের সহযোগিতায় কাজ করছে।

এভাবে প্রতি ঈদেই সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এছাড়াও দেশের যেকোন ক্রান্তিলগ্ন ও দূর্যোগ মোকাবেলায় ‘ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’ এগিয়ে আসবে এই প্রত্যাশা করি।

ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের কো-ফাউন্ডার ফাহিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জহির, থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম লিটন, থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, যুবদল নেতা রাহাদ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম মিশু, ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা রোকন চৌধুরী। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাকিব চৌধুরী, সিফাত আলম, জাওয়াদুল সিয়াম, শামীম আব্দুুল্লাহ, আশিক, রাব্বী, জুনায়েদ, মহুয়া, ঐশী ও রুপা সহ ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং ভলান্টিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ উপস থ ত ছ ল ন ব এনপ র অসহ য় ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব

পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।

জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’

চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে। 

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ