ফতুল্লায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সেলাই মেশিন ও ঈদ বাজার বিতরণ
Published: 29th, March 2025 GMT
‘আপনার যাকাতে গড়ে উঠুক স্বনির্ভরতার বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’-এর উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে সেলাই মেশিন ও ঈদ বাজার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৪টায় ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ২০০ জন সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের মাঝে সেলাই মেশিন ও ঈদ বাজার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সমাজসেবিকা শওকত আরা খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অথিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য কাজী মঈন উদ্দিন।
ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’ অসহায় মানুষের সহযোগিতায় কাজ করছে।
এভাবে প্রতি ঈদেই সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এছাড়াও দেশের যেকোন ক্রান্তিলগ্ন ও দূর্যোগ মোকাবেলায় ‘ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’ এগিয়ে আসবে এই প্রত্যাশা করি।
ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের কো-ফাউন্ডার ফাহিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জহির, থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম লিটন, থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, যুবদল নেতা রাহাদ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম মিশু, ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা রোকন চৌধুরী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাকিব চৌধুরী, সিফাত আলম, জাওয়াদুল সিয়াম, শামীম আব্দুুল্লাহ, আশিক, রাব্বী, জুনায়েদ, মহুয়া, ঐশী ও রুপা সহ ট্রাস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং ভলান্টিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ উপস থ ত ছ ল ন ব এনপ র অসহ য় ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি