যশোরে চোখ তুলে নেওয়ার ঘটনায় গুরুতর আহত সিরাজুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। 

শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

নিহতের ছেলে মফিজুল ইসলাম ইমন জানান, বর্তমানে তার বাবার মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে রাখা হয়েছে। আজ রোববার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ যশোরে নেওয়া হবে। এর আগে শনিবার সকালে যশোর শহরের বাহাদুর জেস গার্ডেন পার্কের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। 

তিনি আরও জানান, পুরো ঘটনার পেছনে মূলত আর্থিক লেনদেনের জেরে বিরোধ তৈরি হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। 

তিনি বলেন, “আমরা খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত ঘটনা জানাব এবং এরপর আইনি ব্যবস্থা নেব।”

অন্যদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাসি বেগম পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ জানান, সিরাজুল ইসলাম তাকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন, যা থেকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ