৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের পরিকল্পনা স্বাস্থ্য বিভাগের: ডিজি
Published: 3rd, April 2025 GMT
স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আবু জাফর জানিয়েছেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সংকট দূর করতে নতুন করে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এছাড়া বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগে জন্য ইতিমধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিভিন্ন বিসিএস থেকে আরও সাড়ে তিন হাজার চিকিৎসক নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে একাডেমিক পদায়নের জন্য সুপারনিউমারি পদ সৃষ্টি করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক এসব তথ্য জানান।
এসময় মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে স্বাস্থ্য কার্ড দিয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত ৪০ জনকে দেশের বাইরে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তবে সর্বিক ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্য বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব অর্পন করেছে।”
এরআগে স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। রোগিদের সমস্যা এবং সঠিক চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন তিনি। এছাড়া চিকিৎসক সংকট নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
এসময় স্বাস্থ্য বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ডাক্তার হাবিবুর রহমান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার আমিনুল ইসলাম, নাটোর সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডাক্তার আনিছুজ্জামান পিয়াস, নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আরিফুল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ জ র চ ক ৎসক ন
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফজলু মেম্বার, মনির মল্লিক, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুর রহমান, শাহ আল বেপারী, সেলিম হোসেন দিপু।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীন মিয়া বলেন, কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর এদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যেকোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে আমার সংগঠনে যারা চাঁদাবাজ, দখলবাজ স্বৈরাচারের দোসর আমি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি।
আওয়ামীলীগের সাথে শাহীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনাদের ব্যাপারে পাল্টা তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে নজরুলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের যোগসাজসে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আবাদী জমিতে বালি ভরাট করে সাধারণ কৃষকের দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও অসহায় ও সাধারন মানুষের বসতবাড়ি সহ জবরদখল করে নেয় তারা। নজরুল দোসরদের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল। এভাবে বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন এই নজরুল। সে হলো মৌসুমী পাখি।
তিনি বলেন, ১৭ টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এই নারায়ণগঞ্জে কৃষক দলকে হাতের মুঠোয় রেখেছি আজ সেই কৃষক দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে এই নজরুল স্বৈরাচারের সাথে হাত মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের মানহানি করেছে।
আমি এরই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি আমার হাইকমান্ডকে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সার্জন মোমেনকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃংখল বঙ্গের দায়ে ১০ই এপ্রিল সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে বিগত সতেরো বছর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। ৫ ই আগস্টের পর ৪০ বিঘা জমির উপর মাছের প্রজেক্ট দখল করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মোমেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তার নিজের জন্য। এখনো সে এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে এসেছে এবং অনেক সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যে সমস্ত মানুষ কোন দল করে না দল বুঝেনা। এ সমস্ত অভিযোগের কারণে তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নজরুলসহ কৃষকদলের বেশ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শাহীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন তারা।