অ্যান্ড্রয়েডে থাকা গুরুতর নিরাপত্তাত্রুটি ঠিক করল গুগল
Published: 10th, April 2025 GMT
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে থাকা দুটি ‘জিরো ডে’ ত্রুটিসহ মোট ৬২টি ত্রুটি সমাধান করে নতুন নিরাপত্তা প্যাচ উন্মুক্ত করেছে গুগল। নিরাপত্তা প্যাচটিতে ক্ষতিকর ক্লোজড সোর্স থার্ড পার্টি কম্পোনেন্ট ও কার্নেল-সংশ্লিষ্ট সাবকম্পোনেন্টের ত্রুটি সমাধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর তাই সাইবার হামলা থেকে নিরাপদ থাকতে নতুন নিরাপত্তা প্যাচটি সবাইকে দ্রুত ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা।
গুগলের তথ্য মতে, এপ্রিল মাসে উন্মুক্ত করা নতুন নিরাপত্তা প্যাচের মাধ্যমে মোট ৬২টি নিরাপত্তা ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি ছিল জিরো ডে ঘরানার ত্রুটি। এই দুটি ত্রুটি ইতিমধ্যে সাইবার হামলায় ব্যবহার হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর তাই নতুন নিরাপত্তা প্যাচ ব্যবহার না করলে পুরোনো ত্রুটিগুলোর কারণে যেকোনো সময় সাইবার হামলার কবলে পড়তে পারেন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুনআইফোনের মতো যে প্রযুক্তি–সুবিধা ব্যবহার করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে০৮ জানুয়ারি ২০২৫জানা গেছে, লিনাক্স কার্নেলের ইউএসবি অডিও ড্রাইভারে থাকা সিভিই-২০২৪-৫৩১৯৭ নামের জিরো ডে ত্রুটির কারণে সাইবার অপরাধীরা ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই স্মার্টফোনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। সিভিই-২০২৪-৫৩১৫০ নামের অপর জিরো-ডে ত্রুটিটি কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করা সব তথ্য গোপনে দেখতে পারে সাইবার অপরাধীরা।
আরও পড়ুনঅ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে শিডিউল মেসেজ পাঠাবেন যেভাবে২৯ মার্চ ২০২৫জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি মূলত সফটওয়্যারের দুর্বলতা। নিজেদের তৈরি সফটওয়্যারে ত্রুটি শনাক্ত হলে দ্রুত সমাধান করে নিরাপত্তা প্যাচ উন্মুক্ত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্যাচ উন্মুক্তের আগে হ্যাকাররা যদি সেই ত্রুটি ব্যবহার করতে পারে, তখন সেটিকে জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি বলা হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ