কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ওষুধ চুরির অভিযোগে দুজন আটক
Published: 12th, April 2025 GMT
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে চোরাই ওষুধসহ দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় ওষুধ চুরিতে সহায়তার অভিযোগে এক চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
আজ শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁরা হলেন জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকার হামিদুল হক ও সদর উপজেলার পাটেশ্বরী এলাকার হামিদা বেগম।
অভিযানে হাসপাতাল থেকে ৫০টি স্লিপের মাধ্যমে নেওয়া ১৪ ধরনের ৯৬৫টি বড়ি জব্দ করা হয়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে স্লিপ দেওয়ার অভিযোগে হাসপাতালের (ইউনানি) চিকিৎসক ওবায়দুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর কুড়িগ্রাম ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গোপনে অভিযান চালানোর সময় হাসপাতাল চত্বর থেকে সরকারি ওষুধসহ এক পুরুষ ও এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছে হাসপাতালের বিভিন্ন ধরনের ৯৬৫টি বড়িসহ ওষুধ নেওয়ার ৫০টি স্লিপ জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের সদর থানার পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। আর এক চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসককে মারধর করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা
দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমানকে মারধর ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মামুনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত অবস্থায় মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমানের উপর হামলা চালান মামুনসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল।
মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘‘হাসপাতালে ফারুক ও তার স্ত্রী ১২ থেকে ১৩ দিন ধরে ভর্তি আছেন। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখন তারা সুস্থ। তাদের আজকে রিলিজ দিতে চেয়েছি কিন্তু তারা রিলিজ নিতে চান না। এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে মামুনসহ ১০ থেকে ১২ জন এসে আমার উপর আক্রমণ করেন। মামুন আমার মুখে কিল-ঘুষি মারেন এবং সবাই আমার গলা চেপে ধরে বাহিরে নিয়ে যান। আমার মোবাইল ফোনও তারা কেড়ে নেন।’’
আরো পড়ুন:
অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা
সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ দম্পতি হাসপাতালে
হাকিমপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুন বলেন, ‘‘ডা. মশিউর রহমান আমাকে ধাক্কা দেন। তখন এ ঘটনা ঘটে। তবে আমি তাকে মারিনি। আমার সঙ্গের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।’’ মশিউর রহমানের মোবাইল ফোন তখনি ফেরত দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘‘হাসপাতালের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত মামুনকে চিকিৎসকদের সামনে মারধর করেছি। বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।’’
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।’’
হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘হাসপাতালের ঘটনা অবগত হয়েছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আসিফ ফেরদৌস বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতারা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।’’
ঢাকা/মোসলেম/বকুল