সোনালি ধান ঘরে তুলতে হাওরের বুকে কিষান-কিষানিদের বিশাল কর্মযজ্ঞ
Published: 17th, April 2025 GMT
একদিকে এক দল শ্রমিক ধান কাটছেন, অন্যদিকে আরেক দল শ্রমিক ধানের বোঝা মাথায় করে এনে সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখছেন। এখান থেকে ট্রাক, লরি, টমটম ও মহিষের গাড়ি দিয়ে ধান খলায় এনে মেশিন দিয়ে মাড়াই করছেন কেউ কেউ। জমির পাশেই ধান সেদ্ধ করছেন অনেক কিষানি। কেউ আবার রোদে ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত। বাজারে বিক্রি করতে বস্তায় ধান ভরছেন অনেকে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও নিকলী উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত বড় হাওরে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে। শুধু বড় হাওরই নয়, গত মঙ্গলবার করিমগঞ্জের জয়কা, গুণধর, উরদীঘি, ইটনা উপজেলার এলংজুরী, বড়িবাড়ী, সোহেলা হাওর ঘুরে কিষান-কিষানিদের বিশাল কর্মযজ্ঞ চোখে পড়ে।
কিশোরগঞ্জের হাওরে খেতের পর খেত সোনালি ধানে ভরে গেছে। হাওরের বাতাসে দুলছে ধানের সোনালি শিষ। চলছে খেতভরা সেই ফসল কাটার মহোৎসব। সপ্তাহখানেক আগে থেকে টুকটাক ধান কাটা শুরু হলেও বৈশাখ মাসের প্রথম দিন থেকে পুরোদমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কাঁচি হাতে কৃষকেরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটায় ব্যস্ত। যেন চারদিকে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উৎসব চলছে।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক জায়গায় মেশিন দিয়েও ধান কাটা হচ্ছে। হাওরের সর্বত্রই এখন শুধু ধান আর ধান। এসব কাজে এখন নারী-পুরুষ, ছোট-বড়সহ সবাই ব্যস্ত। তা ছাড়া এবার ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকেরাও খুশি। তবে ধানের যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেই আশা কৃষকদের।
হাওরের ধান কেটে লোকালয়ে ফিরছেন কৃষিশ্রমিকেরা। গত মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বড় হাওরে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ওর র
এছাড়াও পড়ুন:
‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল
শিল্পীর সৌজন্যে