আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ দলের নাম ঘোষণা
Published: 22nd, April 2025 GMT
৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। ছয় সদস্যের এ দলের সঙ্গে থাকবেন একজন কোচ, একজন উপদলনেতা ও একজন পর্যবেক্ষক। আইএমওর ৬৬তম আসর অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার সানশাইন কোস্ট শহরে। চলতি বছরের ১০-২০ জুলাই বসবে এ আসর।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য নির্বাচিত ছয়জন হলো ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী মনামী জামান, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী জাওয়াদ হামীম চৌধুরী ও রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এম জামিউল হোসেন; চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিতেন্দ্র বড়ুয়া ও চট্টগ্রাম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো.
এ ছাড়া এ দলের সঙ্গে কোচ হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ মাহবুব মজুমদার, উপদলনেতা হিসেবে থাকবেন গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
আয়োজকেরা জানান, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যদের নির্বাচনের লক্ষ্যে আয়োজিত গণিত উৎসবে সারা দেশ থেকে প্রায় ৭৫ হাজার ৫৯৬ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিল। নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথমে অনুষ্ঠিত হয় ‘অনলাইন বাছাই অলিম্পিয়াড’। বাছাই অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের নিয়ে ১৫টি শহরে অনুষ্ঠিত হয় ‘আঞ্চলিক গণিত উৎসব’। আঞ্চলিক গণিত উৎসবের বিজয়ী ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয় ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় গণিত উৎসবে। জাতীয় গণিত উৎসব থেকে বিজয়ী হয় ৮৫ জন। সেখান থেকে সেরা ৪০ জন নিয়ে প্রথমে জাতীয় গণিত ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। পরে জাতীয় গণিত ক্যাম্প, এশিয়ান প্যাসিফিক ম্যাথমেটিক্স অলিম্পিয়াড ও আইএমও নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় গণিত দলের ৬ জন নির্বাচন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি এ আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে আইএমওতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ দল। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) বাংলাদেশ ১টি সোনা, ৭টি রুপা, ৩৭টি ব্রোঞ্জ ও ৪৪টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি লাভ করেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ত য় গণ ত পর ক ষ র অন ষ ঠ ত কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ
মেঘ রোদের লুকোচুরির সকালে শিল্পী সোহানী মজমুদার সেতার বাদনে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষাকাল উদযাপনের আয়োজন। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।
আষাঢ়ের প্রথম দিন এই আয়োজনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। গানে, কথনে, আবৃত্তিতে বর্ষা বন্দনা করা হয়।
আয়োজনে রাগ ভৈরবীর পর বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। ঘোষণা পাঠ করেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।
কথনের পর মূল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকেই।
এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অনেকেই।
দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।
এছাড়া ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।