জমি নিয়ে বিরোধে ভাই–বোনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
Published: 22nd, April 2025 GMT
রাজশাহীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাই ও বোনকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কালাম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম তরিকুল ইসলাম (৫২)। তিনি রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তরিকুল তাঁর ভাই সাদেকুল ইসলাম ও বোন আক্তারা জাহানকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় আরও চারজনকে কুপিয়ে আহত করেন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ ঘটনার পর নিহত সাদেকুল ইসলামের ছেলে ইউসুফ আলী থানায় হত্যা মামলা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শামীম আহমেদ। আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী নিযুক্ত না থাকায় রাষ্ট্র তাঁর পক্ষে মাহমুদুর রহমান নামের একজন আইনজীবী নিয়োগ করে।
রায়ের বিষয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, আসামি খুন করেছেন, এটা সত্যি। তবে তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। মানসিক ভারসাম্যহীন আসামির যেভাবে বিচার হওয়া উচিত ছিল, সেভাবে হয়নি। অন্য আসামির মতোই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল