বলিউডে প্রথম সারির একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম নিয়ে খবরে এসেছিলেন রণবীর কাপুর। যদিও ২০২২ সালে অভিনেত্রী আলিয়া ভটের সঙ্গে বিয়ে সারেন রণবীর। একবছরের মাথায় তাঁদের জীবনে আসে কন্যা রাহা। এখন স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে পুরোপুরি সংসারী রণবীর। আলিয়াকে নিয়ে করা নিয়ে সেসময় কথা উঠেছিল নানান মহলে।

বিয়ের আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, তিনি বিয়ে করতে চান কোনও অভিনেত্রীকে। তার নেপথ্যে ছিল কারণও দেখান তিনি।

২০১১ সালে ‘রকস্টার’ সিনেমা মুক্তির সময় দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে। সে সময়ও অভিনেতা জানান, বিয়ে করলে কোনও অভিনেত্রীকেই করবেন।

কারণ হিসেবে রণবীর বলেন, ‘প্রেম যে কোনও সময় হতে পারে। কিন্তু আমার কোনও অভিনেত্রীর সঙ্গে বিয়ের সম্ভাবনাই বেশি। কারণ আমি যাদের সাথে দেখা করি এবং যোগাযোগ করি, সকলেই সিনেমার জগতের।’

তিনি বলেন, ‘সিনেমাই আমাদের জগত এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একে অপরের সঙ্গে বিয়ে করার এটাই অন্যতম প্রধান কারণ। সাধারণত, সিনেমার বাইরে আমাদের বাস্তব জীবন থাকে না।’ সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রণব র ক প র রণব র

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।    

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন। 

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ