রিয়াল এই মৌসুমে বার্সার সঙ্গে পারবে না, আগেই বলেছিলেন ইয়ামাল
Published: 27th, April 2025 GMT
রুডিগার কি সত্যিই রেফারিকে বরফ ছুড়ে মেরেছিলেন, কী শাস্তি হতে পারে
ম্যাচে বার্সেলোনা গোল করেছে তিনটি, একটিও তাঁর নয়। তবে দুটি গোলে তিনি সহযোগিতা করেছেন। অবদান আছে সতীর্থদের গুরুত্বপূর্ণ পাস দেওয়া, রিয়াল মাদ্রিদ রক্ষণে প্রতিনিয়ত হুমকি তৈরিতেও। তবে আরেকটা কৃতিত্ব চাইলেই দাবি করতে পারেন লামিনে ইয়ামাল। গতকাল রাতের কোপা দেল রে ফাইনালের আগেই বলেছিলেন, ম্যাচে যে পরিস্থিতিই তৈরি হোক—শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনাই জিতবে। কারণ, চলতি মৌসুমে রিয়াল বার্সার সঙ্গে পারবেই না।
পারেওনি। ২০২৪–২৫ মৌসুমে এখন পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে বার্সা–রিয়াল। বার্সা জিতেছে প্রতিবার, যার সর্বশেষটি গতকাল কোপা দেল রের ফাইনালে।
রিয়ালকে ৩–২ গোলে হারিয়ে কোপা দেল রের শিরোপা জয়ের পর মাঠেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইয়ামাল। ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ম্যাচের আগে রোনাল্ড আরাউহোর সঙ্গে কথোপকথনের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘হোটেলে আমার সঙ্গে আরাউহোর যখন কথা হচ্ছিল, তখন বলেছিলাম “আমরা এক গোল করলেই আর কোনো সমস্যা হবে না। আর যদি ওরা দুই গোল করে ফেলে? তবুও সমস্যা নেই। এই বছর ওরা আমাদের সামলাতে পারবে না।” আমরা সেটাই করে দেখালাম।’
গোলদাতা জুলস কুন্দের (ডানে) সঙ্গে ইয়ামালের আনন্দ–নাচন।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?