পটুয়াখালীতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন
Published: 28th, April 2025 GMT
পটুয়াখালীর ধানখালীতে সদ্য চালু হওয়া পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্ক্র্যাপ শেডে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল হালিমকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) শওকত ওসমান ও ডেপুটি ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম।
আগামী দুই কার্য দিবসের মধ্যে এ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির অপর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২০ একর এরিয়ার স্ক্র্যাপ শেডে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি টিম, নৌ-বাহিনীর একটি টিম ও সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় রাত এগারোটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) ও তদন্ত কমিটির সদস্য শওকত ওসমান বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠনের পরই আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি দুই দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে।”
পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল প্লান্টের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমে কোন বিঘ্ন ঘটেনি। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে মূল্যবান কোন যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পরিত্যক্ত বেশ কিছু স্ক্র্যাপসহ লোহা-লক্কর পুড়ে গেছে।
ঢাকা/ইমরান/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক শওকত হত্যার ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক শওকত মোল্লা (২০) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত মাকসুদুর রহমান এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার মেহেদী আবু কাওসার, জনি মোল্লা ও আবু রাসেল শেখ (পলাতক), রবিদাসপল্লির রাজেশ রবিদাস এবং গোয়ালচামট মহল্লার রবিন মোল্লা। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রাজবাড়ীর সদরের মসলিসপুর গ্রামের বাদশা শেখকে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন বাদে বাকি সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, শওকত মোল্লা শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আয়নাল মোল্লার ছেলে। ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বেরিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ১৫ নভেম্বর সকালে শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কের পাশের একটি ধানখেতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। ১৬ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শওকতের বাবা আয়নাল মোল্লা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শওকতকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ইজিবাইক ও তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি চৌধুরী জাহিদ হাসান জানান, বর্তমানে ইজিবাইক হাতিয়ে নেওয়ার জন্য খুনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি সমাজের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।