অনেকের মধ্যেও একাকীত্ব বোধ করছেন? ভালো থাকবেন যেভাবে
Published: 30th, April 2025 GMT
বিষণ্ণতা একটি মানসিক রোগ যা একজন ব্যক্তিকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রভাবিত করে। যখনই কোনও ব্যক্তি খুব বেশি চিন্তা করতে শুরু করে বা তার জীবনে এমন কোনও ঘটনা ঘটে যা তাকে কষ্ট দেয়, তখনই সে হতাশায় পড়তে শুরু করে। এখনকার ব্যস্ত জীবনে একাকীত্ব একটি বড় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠছে। অনেক সময় এমন হয় আমরা অনেকের মধ্যে থেকেও সম্পূর্ণ একা এবং বিচ্ছিন্ন বোধ করি।
বিষণ্ণতায় ভুগলে একাকীত্ব, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, খাওয়ার ইচ্ছা না থাকা, উদ্বেগ এবং অনিদ্রার মতো অনেক লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই অনুভূতিটি সময়মতো সনাক্ত না করা হয় এবং এটি মোকাবেলা করার জন্য ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।
কেন আমরা অনেকের মধ্যে ও একাকীত্ব বোধ করি?
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগের অভাব, আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মানবোধের অভাব এবং মানসিক দ্বন্দ্ব একাকীত্বের অনুভূতি বাড়ায়। যখন কারও মনে হয় কেউ তাকে বোঝে না বা তার অনুভূতিগুলি উপেক্ষা করছে তখন অনেকের মধ্যেও সে একাকী বোধ করতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, একাকীত্ব বোধ করা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি এই অনুভূতি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। সামাজিক সংযোগ এবং আপনার অনুভূতির প্রকাশ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
একাকীত্ব বোধ করলে কী করবেন-
নিজের অনুভূতিগুলি বুঝুন : প্রথম পদক্ষেপ হল আপনার অনুভূতিগুলিকে না এড়িয়ে স্বীকার করুন। নিজেকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুনম, ‘আমি কেমন বোধ করছি?’ এবং ‘কেন’? এমন বোধ করছি ইত্যাদি।
বিশ্বস্ত কারো সাথে কথা বলুন: বন্ধু, পরিবারের সদস্য, অথবা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সাথে খোলামেলা কথা বলুন। অনেক সময় শেয়ারিং মন শান্ত করতে এবং সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিবাচক কার্যক্রমে যুক্ত হোন: শখ, খেলাধুলা, যোগব্যায়াম, সঙ্গীত বা নতুন দক্ষতা শেখার মতো কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকুন। এসব কার্যক্রম মানসিক শক্তিকে সঠিক দিকে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন বজায় রাখুন: নিয়মিত ঘুম, সুষম খাবার খাওয়া এবং ব্যায়াম আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পেশাদার কারও সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না: যদি একাকীত্বের অনুভূতি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করতে শুরু করে, তাহলে একজন কাউন্সিলর বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র অন ভ ত
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত