এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
Published: 30th, April 2025 GMT
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুছ মিঞা ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি দায়ের করেছেন এক নারী।
গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে নালিশি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম। বিচারক নালিশি অভিযোগটি শুনানি শেষে আদেশের জন্য রেখেছেন।
আদালতে দাখিল করা নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল সুমা বেগমের শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থান ভাঙচুর করে জমি দখলের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান সুমা। খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তিনি বিরোধীপক্ষের অবস্থান নেন এবং অভিযোগকারী সুমা বেগমসহ তিন জনকে থানায় নিয়ে যান। পরে সুমা বেগমের পক্ষে কাজ করার জন্য এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন থানার ওসি ইউনুছ মিঞা ও এসআই নজরুল ইসলাম। তাদের দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিকে অপারগতা প্রকাশ করলে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ওসি এবং এসআই রাত ৯টা পর্যন্ত আটককৃতদের বেআইনিভাবে থানা হেফাজতে রাখেন। দীর্ঘ সময় থানা হেফাজতে রাখায় প্রতিপক্ষের লোকজন বাধাহীনভাবে কবরস্থান ভাঙচুর করে জমি দখল করেন। এ ঘটনায় গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন, বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুমা বেগম। সেখান থেকে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভুক্তভোগী আদালতে নালিশি দায়ের করেছেন।
আরো পড়ুন:
হত্যাচেষ্টা মামলা: আসামি সুবর্ণা-অপুসহ ১৭ অভিনয়শিল্পী
ধামরাইয়ে চালক-হেলপারকে মারধর করে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই
এ বিষয়ে সুমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘ওসি মো.
তবে, অভিযোগের বিষয়ে নাকচ করেছেন গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুছ মিঞা।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। রাস্তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় কাউকে থানায় এনে আটক করে রাখা বা টাকা দাবি করা হয়নি।’’
ওসি ইউনুছ মিঞা বলেন, ‘‘ওই নারী সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’’
ঢাকা/পলাশ/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নজর ল ইসল ম ইউন ছ ম ঞ দ য় র কর কর ছ ন গ রনদ
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ
চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় শহরের তালতলা দি ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হাসপাতালটিতে নানা অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্মও হয় এই হাসপতালে। জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা করার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসা ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবর স্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।
এদিকে দি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, “হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মিলেনি। চিকিৎসক নেই, হাসপাতালের প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়ন নেই।”
তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে। একই সাথে রোগীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযানে পরিচালিত কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”
এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করে দেখেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।
ঢাকা/অমরেশ/এস