কর্ণফুলী নদী থেকে ওয়াকিটকিসহ ৬ পাচারকারী আটক
Published: 9th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানাধীন কাফকো জেটি সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওয়াকিটকি, সাবমার্সিবলসহ ছয় পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ। পাচারকারীরা হলেন- কক্সবাজারের বাসিন্দা মো.
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, কোস্ট গার্ড আউটপোস্ট পতেঙ্গা থানাধীন কাফকো জেটি সংলগ্ন কর্ণফুলী চ্যানেল এলাকায় বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি সন্দেহভাজন কাঠের বোট তল্লাশি করে ১০টি অত্যাধুনিক ওয়াকিটকি সেট, ১০টি ওয়াকিটকি চার্জার, ২টি সাবমার্সিবল পাম্প, ১টি স্যামসাং ট্যাব ও পাচারের কাজে ব্যবহৃত ১টি ইঞ্জিনচালিত কাঠের বোটসহ ছয় পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারা দীর্ঘদিন অবৈধভাবে পাচার কাজে জড়িত। আসামিদের কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দ করা পণ্যসামগ্রীর বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প চ রক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘হারানো দিন’ থেকে ‘আম্মাজান’—শবনমের পূর্ণতার যাত্রা
মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয় শুরু শবনমের। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে টানা চার দশকের অভিনয়জীবন তাঁর। ২৬ বছর ধরে অভিনয়ে নেই তিনি। এরপরও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন আড্ডায় প্রাসঙ্গিক। আজ তাঁর জন্মদিন। শবনমকে নিয়ে লিখেছেন মনজুর কাদের
‘হারানো দিন’ সিনেমা দিয়েই শবনম সাড়া ফেলেন। এ সিনেমার ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি, ইরান-তুরান পার হয়ে আজ তোমার দেশে এসেছি’ গানটি আজও যেন দর্শকের মুখে মুখে। গানটিতে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছিলেন শবনম। অভিষেক সিনেমাই সুপারহিট। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। মুস্তাফিজ পরিচালিত সিনেমাটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পায়।
ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলিয়ে প্রায় ১৮৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন শবনম। তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি পাকিস্তানি সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন মোট ১৬ বার। তাঁর এ রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। এক বছর আগে পাকিস্তান সরকার দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ দেন শবনমকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে বহু সম্মাননায় সমৃদ্ধ হয় তাঁর অর্জনের ঝুলি।
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী শবনমের আসল নাম ঝর্ণা বসাক। ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার নবাবপুরে জন্ম। পরিচালক এহতেশামের ‘চান্দা’ সিনেমায় ১৯৬২ সালে অভিনয় করেন তিনি। এই নির্মাতা ‘হারানো দিন’ সিনেমায় তাঁকে শবনম নামটি দেন। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে স্থায়ীভাবে বাস করতে থাকেন শবনম।
সত্তর দশকের শুরুতে শবনম পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন। ১৯৮৮ সালে শবনম ঢাকা ও লাহোরের সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে থাকেন। নব্বই দশকের শেষভাগে ঢাকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘আম্মাজান’ সিনেমায়। এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে সব বয়সী দর্শকের কাছে ‘আম্মাজান’ হিসেবে নতুন করে পরিচিতি পান।
শবনম বলেন, ‘ভাগ্য আমার এতটাই ভালো, আমার অভিনীত প্রথম ও শেষ সিনেমা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সেরা ও হিট সিনেমা।’
শবনম